ইংল্যান্ড ম্যাচের আগেই দ্বিতীয় পর্বে জায়গা পাকা করতে চায় হ্যাজার্ডরা
বিশ্বকাপ ২০১৮: শনিবার স্পার্টাক স্টেডিয়ামে বেলজিয়াম বনাম তিউনিসিয়ায় ম্যাচের প্রিভিউ।
শনিবার স্পার্টাক স্টেডিয়ামে গ্রুপ জি-র ম্যাচে তিউনিসিয়ায় মুখোমুখি বেলজিয়াম। কোনও সন্দেহ নেই এই ম্যাচ থেকে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে যাওয়া পাকা করতে চায় রেড ডেভিলসরা। কিন্তু দুর্বল তিউনিশিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি প্রতিপক্ষও এই ম্যাচে থাকবে এডেন হ্যাজার্ডদের সামনে, তা হল প্রত্য়াশার চাপ।
শনিবারের ম্যাচে দুর্বল তিউনিশিয়াকে হারাতে পারলেই পরের রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে বেলজিয়ামের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগেই তারা চাপমুক্ত হতে চায়। তবে এই বিশ্বকাপে আদৌ চাপমুক্ত হতে পারবে কিনা রেড ডেভিলস-রা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচে পানামাকে ৩-০ গোলে হারানোর পরও দেশে তাদের খেলার সমালোচনা হয়েছে। বিশেষ করে পানামার মতো বিশ্বকাপে সদ্য পা রাখা দেশের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকা নিয়ে একেবারেই খুশি নন বেলজিয়ান সমর্থকরা।
আগের ম্যাচে রোমেল লুকাকু দুটি গেল করেছেন। ড্রিয়েস মার্টিনেজ একটি। কিন্তু হ্যাজার্ডকে কড়া মার্কিং-এ নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিল পানামার খেলোয়াররা। সমর্থকরা কিন্তু এই ম্যাচে তাঁর কাছ থেকে গোল আশা করছেন। বেলজিয়ামের স্প্যানিশ কোচ রবার্ট মার্টিনেজেরও আশা চেলসির খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে তিউনিসিয়া হয়তো অতটা কড়া হবে না।
ইতিহাসও বেলজিয়ামের সঙ্গে রয়েছে। বিশ্বকাপে বেলজিয়াম কখনও আফ্রিকার কোনও দেশের বিরুদ্ধে হারেনি। আর উল্টো দিকে তিউনিশিয়া কখনও কোনও ইউরোরিয় দলের বিরুদ্ধে জেতেনি। তবে তিউনিশিয়াকে দুর্বল বলে উড়িয়ে দিচ্ছে না বেলজিয়াম। ইংল্যান্ড ম্যাচে তিউনিশিয়ার খেলা দেখে তারা বলছে তিউনিশিয় প্রতিপক্ষের খেলোয়ারদের মধ্যে ভাল বোঝাপড়া রয়েছে, এবং তারা তীব্র গতিতে প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে পারে। কাজেই সতর্ক থাকতেই হবে। তিউনিশিয়ানরা কিন্তু বলছেন, 'আমরা একদিন হেরেছি, কিন্তু যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি'।