বিশ্বকাপের হাত ধরে চমকে দিল নবরূপের যুবভারতী, পড়ুন এক বদলে যাওয়ার কাহিনী
রাজ্য সরকারের আয়োজন ভালই ছিল, কিন্তু ম্যাচ যত এগোল তত যুবভারতী বদলে গেল চেনা ছবিতে।
ভ্যেনু হিসেবে পাস মার্কস পেয়ে গেল যুবভারতী। বিশ্বের সামনে কলকাতার এই মাঠ দারুণ বার্তাই পৌঁছে দিল। প্রায় ৪৭ হাজার দর্শকের সামনে বিশ্বমানের ফুটবল উপহার দিল ইংল্যান্ড, চিলি, ইরাক ও মেক্সিকোর ফুটবলাররা।
ভিভিভিআইপি জোনে পরিষেবা হয়ত খুবই উচ্চমানের ছিল , কিন্তু ব্যারাকপুর- গড়িয়া -কলেজস্ট্রিট থেকে যেসব হাজার হাজার সাধারণ দর্শক এসেছিলেন তাঁরা কিন্তু খানিকটা অসুবিধার মধ্যে পড়লেন।
ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ দেখতে যুবভারতীতে যাঁরা যান তাঁরা সকলেই যুবভারতীর টয়লেটকে হাড়ে হাড়ে জানেন। নতুনভাবে সুসজ্জিত যুবভারতীতে ম্যাচ শুরুর আগে টয়লেটও ছিল ঝকঝকে। কিন্তু ম্যাচ যত গড়ায় তত যুবভারতী ফিরতে থাকে নিজেদের চেনা ছন্দে। টয়লেটের হাল হয়ে যায় অত্যন্ত জঘন্য তার চেয়ে বলা ভাল আগে যেরকম টয়লেট হত ঠিক সেরকইম চেহারা নেয় যুবভারতীর টয়লেট। প্রথম ম্যাচ শেষ হতে হতে জল থই থই অবস্থা।
আসলে সবকিছু নিয়ে যাওয়ায় না থাকলেও 'খৈনি-গুটখা ' আটকানো যায়নি, সেই প্যাকেটগুলি টয়েলেটে জমে গিয়ে নিকাশি ব্যবস্থা ফের বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল। অন্যদিকে পাউচ জলের পর্যাপ্ত যোগান না থাকায় একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আইপিএল -আইএসএলের ঢঙে বহুজাতিক নরম পানীয় সংস্থাদের দাপটে জলের বদলে নরম পানীয় খেয়েই তেষ্টা মেটাতে হয়েছে বিশ্বকাপ দেখতে আসা ফুটবলপ্রেমীদের।
তবে এইটুকু চোনা বাদ দিলে অসুবিধা আর কিছু হয়নি, পরিবহন ব্যবস্থা থেকে মাঠে বসে খেলা দেখার স্বাচ্ছন্দ্য সবই ছিল। সবচেয়ে আশার কথা মাঠে প্রচুর বিভিন্ন বয়সী মহিলা ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতি এই বার্তা দিলও ধীরে হলেও বদলাচ্ছে শহর , বদলাচ্ছে কল্লোলিনী তিলোত্তমা।