মোদীজি-র স্বপ্নের 'খেলো ইন্ডিয়া'-র বাস্তবায়নে বাজেটে ক্রীড়াক্ষেত্রে বাড়লো বরাদ্দ
এবারের বাজেটে ২১৯৬.৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল ক্রীড়াক্ষেত্রে।
এবারের বাজেটে ২১৯৬.৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল ক্রীড়াক্ষেত্রে। একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রজেক্ট 'খেলো ইন্ডিয়া' লঞ্চ হয়েছে। ফলে এবারের বাজেটে ক্রীড়াক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়বে এমনটা আশা করেছিল ক্রীড়ামহল। হলও তাই।
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি গতবারের ক্রীড়াক্ষেত্রে বরাদ্দের তুলনায় এবার বরাদ্দ বাড়িয়েছেন ২৫৮.১৯ কোটি টাকা। গতবারের বাজেটে ক্রীড়াক্ষেত্রে বরাদ্দ ছিল ১৯৪৩.২১ কোটি টাকা। সেটা এবার বেড়ে হয়েছে ২১৯৬.৩৫ কোটি টাকা।
একনজরে যদি দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে এবারের ক্রীড়া বাজেটে সাই কে জাতীয় ক্যাম্প করার জন্য ৪২৯.৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ন্যাশানাল সার্ভিস স্কিম পেয়েছে ১৬০ কোটি টাকা, গতবছর যা ছিল ১৪৪ কোটি টাকা। দ্য ন্যাশানাল ইয়ুথ কর্পোরেশন ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ন্যাশানাল স্পোর্টস ফেডারেশন বরাদ্দ হয়েছে ৩৪২ কোটি টাকা, যা গতবছর ছিল ৩০২.১৮ কোটি টাকা।
এদিকে শুধু এটুকুই নয়, এবছর খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়াল ৫২০. ০৯ কোটি টাকা। যা গত বছরের ৩২০ কোটি টাকা ছিল। নেহেরু যুব কেন্দ্র সংগঠন পেল ২৫৫ কোটি টাকা। গত বছর স্পোর্টস ও ইয়ুথ সার্ভিস গত বছর পেয়েছিল ১৭১২.০৬ কোটি টাকা, যা এবার বেড়ে হয়েছে ১৯৩৫.১৫ কোটি টাকা। উত্তর পূর্ব ভারতের খেলার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ১৭৩.১৬ কোটি টাকা, গতবছরে ছিল ১৪৮.৪ কোটি টাকা। একমাত্র জম্মুকাশ্মীরের খেলার উন্নতির জন্য বরাদ্দ কমানো হয়েছে ৭৫ কোটি থেকে কমে তা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
ক্রীড়াক্ষেত্রে বাজেটের বৃদ্ধি বেশ উপযুক্ত সময়ে এসেছে। এই মুহূর্তে কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমসের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দেশের ক্রীড়াবিদরা। তারপরই ২০২০ সালে রয়েছে টোকিও অলিম্পিক্স। নরেন্দ্র মোদী একদিন জানিয়েছিলেন, 'ভারত যখন বিশ্বমঞ্চে বড় হচ্ছে বলি, এটার মানে শুধু এই নয়, সামরিকক্ষেত্রে শক্তিশালী ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী। এর সঙ্গে দেশের মানুষ. বিজ্ঞানী, আর্টিস্ট, ও ক্রীড়াবিদদেরও বোঝায়। আমি নিশ্চিত যে এরা প্রত্যেকেই অনেকরকম অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে। আমার মতে ভারত এই সবক্ষেত্রেই নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে। আমি যৌবনে বিশ্বাস করি। '