বিশ্ব সেরার স্বপ্ন অসমাপ্ত রেখে ১৫-তেই ধরাছোঁয়ার বাইরে সোনার মেয়ে মৌপ্রিয়া
পাখার সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন সাফ গেমসে ডাইভিংয়ে সোনা জয়ী মৌপ্রিয়া মিত্র। প্রেমঘটিত সমস্যা থেকেই আত্মহত্যা বলে অনুমান পুলিশের।
পাখার সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন সাফ গেমসে ডাইভিংয়ে সোনা জয়ী মৌপ্রিয়া মিত্র। প্রেমঘটিত সমস্যা থেকেই আত্মহত্যা বলে অনুমান পুলিশের। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেন। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
থেমে
গেল
বিশ্বজয়ের
স্বপ্ন,
পনেরোতেই
আত্মঘাতী
হল
সাফ
গেমসে
সোনাজয়ী
ডাইভার
মৌপ্রিয়া
মিত্র।
সাফ
গেমসে
পদক
জয়ী
তরুণ
প্রতিভার
অস্বাভাবিক
মৃত্যু
অঙ্কুরেই
ঝড়ে
এক
বিস্ময়
প্রতিভা।
সোমবার
ব্যান্ডেলে
নিজের
বাড়িতেই
গলায়
ফাঁস
দেওয়া
অবস্থায়
উদ্ধার
করা
হয়
বছর
পনেরোর
মৌপ্রিয়ার
ঝুলন্ত
দেহ।
তবে,
ডাইভিংয়ে
পরের
পর
পদক
আনলেও
ছোট
থেকেই
জিমন্যাস্ট
হওয়াই
লক্ষ্য
ছিল
মৌপ্রিয়ার।
পা
ভেঙে
যাওয়ায়
জিমন্যাস্টিক্স
ছেড়ে
ডাইভিং-এ
মনোসংযোগ
করেন
তিনি।
হুগলির ব্যান্ডেলের মানসপুরের বাসিন্দা ভাস্কর মিত্রের মেয়ে মৌপ্রিয়া মিত্র। বাবা-মায়ের সঙ্গে সেখানেই থাকতেন তিনি। সোমবার সকাল থেকে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় বাড়িতেই ছিল সে। সকাল থেকে সমানে ঝড়-বৃষ্টি চলছিল। কিছুক্ষণের জন্য দুর্যোগ থামলে দোকান যাওয়ার নাম করে দোতলা থেকে একতলায় নেমে আসে মৌপ্রিয়া। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় মেয়েকে খুঁজতে মৌপ্রিয়ার মা-ও দোতলা থেকে নিচে নেমে আসেন। তিনি দেখতে পান নিচের ঘরের দরজা ভেজানো। সেই দরজায় ঠেলা দিতেই দেখতে পারেন পাখার সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে মৌপ্রিয়া।
মেয়েকে এই অবস্থায় দেখে তাঁর মা চিৎকার করলে ছুটে আসে মৌপ্রিয়ার বাবা। কিছুক্ষণের মধ্যেই জড়ো হয়ে যান পাড়াপ্রতিবেশীরাও।পুলিশ এসে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নতদন্তের জন্য পাঠায়। মৌপ্রিয়ার প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল মৌপ্রিয়ার। সম্পর্কের কথা জানত তাঁর পরিবারের লোকেরাও। কখনও তাঁরা আপত্তি করেননি। প্রতিবেশীদের দাবি, সেই যুবকের বাড়ির লোকেরা এই সম্পর্ক মানতে রাজি ছিল না। সম্পর্ক না রাখার জন্য মৌপ্রিয়ার উপর তারা মানসিক চাপ দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তেও পুলিশের অনুমান সম্পর্কের এই টানাপোড়েন থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় মৌপ্রিয়া। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।