হাল ছেড়ে দেওয়া দলই দেশকে দিয়েছিল প্রথম ও একমাত্র বিশ্বকাপ, সৌজন্যে মহান বলবীর সিং
হাল ছেড়ে দেওয়া দলই দেশকে দিয়েছিল প্রথম ও একমাত্র বিশ্বকাপ, সৌজন্যে মহান বলবীর সিং
ভারতকে তিনটি অলিম্পিক পদক দেওয়া বলবীর সিং সিনিয়রকে হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের সঙ্গে তুলনা করে অভ্যস্ত ক্রীড়া মহল। হবে নাই বা কেন! দুই স্বতন্ত্র যুগে ভারতীয় হকিকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়া দুই কিংবদন্তির কৃতিত্ব যে প্রায় সমান। আবার কালের অদ্ভুত নিয়ম, মিলিয়েও দেয় দুই রথিকে। ১৯৭৫ সালে ভারতকে একমাত্র হকি বিশ্বকাপ দেওয়া যে দলের ম্যানেজার ছিলেন বলবীর সিং, সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মহান ধ্যানচাঁদের পুত্র অশোক কুমার। সেই দলেরই এক কাহিনী তুলে ধরা হল এই লেখনিতে।
গ্রুপ পর্বে হার
১৯৭৫ সালে মালেশিয়ার কুয়ালালামপুরে হওয়া হকি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কিংবদন্তি অজিত পাল সিং। টুর্নামেন্টের লিগ পর্যায়ে আর্জেন্তিনার কাছে ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল ভারত। ওই হারের জেরে বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে যেতে বসেছিল মেন ইন ব্লু-রা। খেলোয়াড়দের মনোবল পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন সেই দলের অধিনায়ক অজিত পাল সিং।
ম্যানেজার বলবীর সিং
ওই বিশ্বকাপে ভারতীয় হকি দলকে কোচিং করিয়েছিলেন গুরচরণ সিং বোধি। দলের ম্যানেজার ছিলেন অলিম্পিকে তিন বারের সোনাজয়ী বলবীর সিং সিনিয়র। আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে হারের পরের দিন কোচ সহ গোটা দলকে প্রাতঃরাশের জন্য বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন বলবীর। সেখানে তাঁর কথা খেলোয়াড়দের এতটাই উজ্জীবিত করেছিল, যে একেবারে বিশ্বকাপ জিতে তাঁরা দেশে ফিরেছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই দলের অধিনায়ক অজিত পাল সিং।
কী বলেছিলেন বলবীর
প্রাতঃরাশের টেবিলে খেলোয়াড়দের আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে হারের ধাক্কা ভুলতে বলেছিলেন বলবীর সিং সিনিয়র। হতাশ না খেলোয়াড়দের নিজেদের দক্ষতার ওপর নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ওই ভারতীয় দল যে পরের ম্যাচে পশ্চিম জার্মানিকে ২ গোলে হারাবে, সে ব্যাপারে বলবীর সিং আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। পরের ম্যাচে ভারত ৩-১ গোলে জিতেছিল বলে জানিয়েছেন সেই দলের অধিনায়ক অজিত পাল সিং।
ভারতীয় হকির স্তম্ভ
বিশ্বজয়ী ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক অজিত পাল সিংয়ের কথায়, দাদা ধ্যানচাঁদ যদি স্বাধীনতার পূর্বে ভারতীয় হকির স্মম্ভ হন, তবে বলবীর সিং সিনিয়র স্বাধীনতার পরের ধারক ও বাহক। ১৯৭৫ সালের ওই বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ভারতীয় হকি দল। দেশের হয়ে জয়সূচক গোল করেছিলেন মহান ধ্যানচাঁদের ছেলে অশোক কুমারের স্টিক থেকে এসেছিল। আর সেখানেই তিন অধ্যায় মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করেন অজিত পাল সিং।
করোনা লকডাউনে রক্তের অভাব মোটাতে মোহনবাগান সমর্থকদের মানবিক উদ্যোগ