এশিয়ান কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ী দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা দিব্যা কাকরন
এশিয়ান কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ী দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা দিব্যা কাকরন
পুরুষদের বিভাগে সুনীল কুমারের পর এশিয়ান কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতলেন ভারতীয় মহিলা দিব্যা কাকরন। দেশের দ্বিতীয় মহিলা হিসেবে এই পদক জিতে অলিম্পিকের আগে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করলেন দিব্যা। তাঁর সাফল্যে মুগ্ধ দেশের ক্রীড়া মহল।
প্রথম প্রশ্ন
সরকারের নোট বাতিল পদক্ষেপকে আপনি কি সমর্থন করেন? এই প্রশ্নে ৭১ শতাংশ মানুষ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্বপক্ষে কথা বলেছেন।
দিব্যার জয়
এশিয়ান কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপের মহিলাদের ৬৮ কেজি বিভাগে খেলতে নেমেছিলেন ভারতের দিব্যা কাকরন। রাউন্ড রবিন ফর্ম্যাটে এই বিভাগে লড়াই চলে মোট পাঁচ জন মহিলা কুস্তিগীরের মধ্যে। তার প্রেক্ষিতে বিভাগে চারটি ম্যাচ খেলতে হয় দিব্যা কাকরনকে। প্রতিটি ম্যাচ জিতে এশিয়ান কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের ও দেশের হয়ে সোনা জেতেন দিব্যা। জাপানের জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে ৪-০ পয়েন্টের ব্যবধানে হারান কাকরন।
দ্বিতীয় প্রশ্ন
সরকারের এই সিদ্ধান্ত লোক দেখানো বলে মনে করছেন না অধিকাংশ মানুষ। ৬৫ শতাংশ মানুষ কেন্দ্রের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
সুনীল কুমারের পর দিব্যা কাকরন
একদিন আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রিকো-রোমান ক্যাটেগরিতে সোনা জিতে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন কুস্তিগীর সুনীল কুমার। তার পিছু হেঁটে একই প্রতিযোগিতা থেকে এবার সোনা জিতলেন ভারতের মহিলা কুস্তিগীর দিব্য়া কাকরনও।
তৃতীয় প্রশ্ন
কালো টাকার দুর্নীতি রুখতে ১০০০ টাকার নোট বাতিল এবং ২০০০ টাকার নোটের আমদানিকে সঠিক বলে মনে করছেন অর্ধেকের বেশি মানুষ।
দ্বিতীয় ভারতীয় দিব্য়া
দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে নজির গড়লেন দিব্যা কাকরন। ২০১৮ সালে একই প্রতিযোগিতার ৬৫ কেজি বিভাগে সোনা জিতেছিলেন ভারতের নভজোৎ কৌর। দুই বছর পর একই সাফল্য ফের ছিনিয়ে নিলেন দিব্যা কাকরন।
চতুর্থ প্রশ্ন
সরকার কি একেবারে প্রস্তুত ছিল না? আরও নতুন নোট কি ছাপানো উচিৎ ছিল? এই প্রশ্নে মানুষের রায়, সরকারের আরও প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল। প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের মত তেমনই।
একই দিনে ফাইনালে চার মহিলা
বৃহস্পতিবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত ফলাফল হল ভারতের। ৬৮ কেজি বিভাগে সোনা জেতেন দিব্যা কাকরন। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতার ৫৯, ৫৫ ও ৫০ কেজি বিভাগের ফাইনালে পৌঁছে নিজের ও দেশের জন্য অন্তত একটি করে রূপো নিশ্চিত করেছেন যথাক্রমে সরিতা মোর, পিঙ্কি ও নির্মলা দেবী।
পঞ্চম প্রশ্ন
সরকার গোপনীয় বজায় রাখতে চেয়েছিল বলে বাস্তবায়ন মন্থর হয়েছে বলে মনে করছেন না ৩৫ শতাংশ মানুষ। ৬৪ শতাংশের বেশি মনে করছেন এটাই সঠিক পদক্ষেপ ছিল।
ষষ্ঠ প্রশ্ন
নোট বাতিল ভবিষ্যতে সাহায্য করবে সাধারণ মানুষকে। এমনটা মনে করছেন ৫৯ শতাংশ মানুষ। বাকী ৪০ শতাংশের মনে হয়েছে এতে আমজনতার বিশেষ সুবিধা হবে না।
সপ্তম প্রশ্ন
কালো টাকা পুরোপুরি নির্মুল হবে কিনা এই প্রশ্নে অধিকাংশ মানুষের মত, এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল। তবে ৪৫ শতাংশ মানুষ বলছেন এর ফলে কালো টাকা আরও বাড়বে।
অষ্টম প্রশ্ন
আমাদের প্রশ্ন ছিল আপনার কি মনে হয় সরকার অসফল হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত? এতে ৭০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন না সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত নয়।
নবম প্রশ্ন
সাধারণ মানুষ যে এত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তার জন্য কাকে দায়ী করবেন? এই প্রশ্নে আমজনতা দ্বিধাভক্ত। মোদী সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ৫০ শতাংশ মানুষ। বাকী ২৯ শতাংশ দায় বর্তেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও ২০ শতাংশ দায়ী ব্যাঙ্কিং সিস্টেম।
দশম প্রশ্ন
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলছেন, ডিসেম্বরে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এতে বিশ্বাস করছেন ৬৪ শতাংশ মানুষ। বাকী ৩৬ শতাংশের মোদীর উপরে ভরসা নেই।
একাদশ প্রশ্ন
আমাদের শেষ প্রশ্ন ছিল, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নোট বাতিলের কী প্রভাব পড়বে? তাতে ৩৬ শতাংশ বলেছেন, বিজেপি নির্বাচনে জিতবে। ২০ শতাংশের মতে জিততে পারবে না। আর বাকীরা মনে করছেন এই ইস্যু ভোটে প্রভাবই ফেলবে না।