'থান্ডার বোল্ট' জীবনের শেষবারের দৌড়, তারপর যা হল
কেরিয়ারের শেষ ইভেন্ট, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের শেষ ম্যাচে ব্রোঞ্জ জিতলেন উসেন বোল্ট
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার পাঠকরা আজ আমায় ক্ষমা করবেন, আজ এখানে কোনও খেলার খবর আপনারা পাবেন না। কারণ আজ একজন সাংবাদিক লিখতে পারছে না। লিখছে এক ফ্যান, অন্ধ বোল্ট ফ্যান।
বোল্টের শেষ দৌড় , সোনা ছাড়া অন্য কোনও বিকল্পের কথা কখনও মাথায় আসেইনি। হিটের ফলাফলে আপনি খুশি ছিলেন না, সেমিফাইনালেও লড়ে জায়গা করে নিলেন ফাইনাল এনকাউন্টারের জন্য। স্বপ্নের সোনালি বিদায়ের ভাবনায় মনে তখন অনেক টানাপোড়েন।
শুরু হল আপনার শেষ দৌড়। লন্ডন থেকে হাজার কিলোমিটার ভৌগোলিক দূরত্বে কলকাতায় নিজের মোবাইলে ফোনে আটকে চোখ। ইউফোরিয়া তখন চরমে। খেলার মেয়াদ দশ সেকেন্ডেরও কম। পাশের লেনে থাকা ক্রিশ্চিয়ান কোলম্যানের থেকে চিরাচরিত ভাবে অনেকটা পিছিয়ে শুরু করলেন, এটাই তো আপনার সিগনেচার টিউন,যাক সব ঠিকঠাক চলছে কিন্তু না পারলেন না তো। এক নয়, দুই নয়, তিন নম্বরে শেষ করলেন বোল্ট। আট নম্বর লেনে থাকা আপনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নিজের দীর্ঘদিনের ইচ্ছাটা পূরণ করে নিলেন। বিশ্বের সামনে বোল্টকে হারিয়ে সোনা জিতলেন মার্কিন অ্যাথলিট জাস্টিন গ্যাটলিন। চোখ থেকে অনায়াসেই জল বেরিয়ে গেল।
হেরেও আপনিই রাজা গ্যাটলিন আপনাকে কুর্নিশ জানালেন, সমস্ত ক্যামেরা আপনাকেই তাড়া করছে। তবে বোল্টের জয়ের মার্কটা ছিল না। আপনিও করতালি দিয়ে সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন। আপনার মনে তখন কী চলছিল বোল্ট। বিশ্বের দ্রুততম মানুষের মনে কী চলছিল তার হদিশ আমার কাছে নেই।
২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে বার্ডস নেস্ট স্টেডিয়ামে আপনাকে প্রথমবার দৌড়তে দেখেছিলাম, মন জিতে নিয়েছিলেন আপনি। তারপর থেকে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, অলিম্পিক্সে যতবারই দৌড়ছেন আপনি সোনার জন্যই দৌড়েছেন, আপনার অভ্যাস আপনার ফ্যানদের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছিল।
আপনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন এটাই আপনার পেশাদার কেরিয়ারের শেষ ব্যক্তিগত ইভেন্ট, সকলেই বলেছিল আর কিছুদিন কেন নয়। আপনি কী তাহলে সত্যিই বুঝেছিলেন বোল্টের ঝাঁঝ কমে আসছে। আমরা সত্যিই বুঝিনি।
সোনা
জিতে
বিদায়
নিলে
হয়ত
রূপকথা
হয়ে
থাকতেন
আপনি।
ইতিহাসের
পাতায়
আপনি
অসাধারণ
কৃতিত্বে
অধিকারী
নিশ্চতভাবে
হয়ে
থাকলেন,
তার
বিশ্ব
জোড়া
অগণিত
ভক্তের
হৃদয়ে-র
'থান্ডার
বোল্ট'
হয়ে
থাকবেন
আপনি।