তাঁকে ভারতের জন্য তৈরি করা হয়েছে! গর্বিত ওয়ার্ল্ড নম্বার ওয়ান জুনিয়র সাইক্লিস্ট অ্যালবেন
তাঁকে ভারতের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এমনটাই প্রতিক্রিয়া বিশ্বের একনম্বর জুনিয়র সাইক্লিস্ট এস অ্যালবেন। প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে রুপোর পদক জিতেছেন তিনি।
তাঁকে
ভারতের
জন্য
তৈরি
করা
হয়েছে।
এমনটাই
প্রতিক্রিয়া
বিশ্বের
একনম্বর
জুনিয়র
সাইক্লিস্ট
এস
অ্যালবেন।
প্রথম
ভারতীয়
হিসেবে
বিশ্ব
চ্যাম্পিয়নশিপের
মঞ্চে
রুপোর
পদক
জিতেছেন
তিনি।
২০১৮-তে
সুইৎজারল্যান্ডে
জুনিয়র
ট্র্যাক
ওয়ার্ল্ড
চ্যাম্পিয়নশিপের
আসর
বসেছিল।
ইতিমধ্যেই
সে
এশিয়ান
ট্র্যাক
চ্যাম্পিয়নশিপে
ছটি
সোনার
পদক
পেয়েছে।
বিকেলে ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে ব্যস্ত ক্রীড়াবিদদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল এস অ্যালবেনকে। ভারতের শীর্ঘ সাইক্লিস্টরা ট্রেনিং-এর জন্য গিয়েছেন সেখানে। কেউ কেউ একইসঙ্গে দুটি বাইক হাতেও দেখা যাচ্ছিল। একটি চালাচ্ছিলেন আর একটি টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
ভারতের সাইক্লিং টিম এই মুহুর্তে রয়েছে রাজধানীতে, জাতীয় ক্যাম্পে। বিকেলটা ছিল ট্রেনিং-এর জন্য। সবাই মিলিত হয়েছিলেন সেখানে। সাইক্লিং সাধারণত দুভাবে বিভক্ত। একটি হল স্প্রিন্ট এবং অপরটি এনডিওরেন্স। প্রথমটি স্বল্প দৈর্ঘের এবং পরেরটি বেশি দৈর্ঘের।
এই মুহুর্তে স্প্রিন্ট-এ ভারতের প্রতিযোগী এস অ্যালবেন খুব ভাল ফল করছেন। ১৭ বছরের এই কিশোর আন্দামান নিকোবরের বাসিন্দা। এস অ্যালবেন ছাড়াও ক্যাম্পে আরও একজন প্রতিভাবান রয়েছেন। তিনি হলেন রোনাল্ডো সিং।
গতবছরে এস ইতিহাস তৈরি করেছিল। সুইৎজারল্যান্ডে জুনিয়র ট্র্যাক সাইক্লিং ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় হিসেবে পদক পেয়েছিল। তবে প্রথম স্থানাধিকারীর থেকে ০.১৭ মিনিট বেশি সময় নিয়ে রুপোর পদক পায় সে। এস অ্যালবেন খুবই খুশি এই পারফরমেন্সে। তবে সে বলছে, সোনার পদক পেলে আরও খুশি হত। তবে এই পদক জেতার পর অনেক ম্যাসেজ পেয়েছে। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁকে ভারতের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। বলছে এস অ্যালবেন।
নিজের ছোটবেলার কথাও বলেছে এস অ্যালবেন। ছোট বেলায় যখনই সে সাইকেলে ওঠার সুযোগ পেয়েছে, তখনই তার দখলে রেখেছে কিছুক্ষণের জন্য। কারও সাইকেল দেখলেই অনুরোধ করেছে তা কিছুক্ষণের জন্য তাকে দিতে।
এস অ্যালবেনের বাবা দমকল অফিসার। আর মা চাকরি করেন বন দফতরে। এস অ্যালবেন-এর ছোট বেলায় গাইড করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন মা-ই। যখন মা তাকে প্রথম বাইক কিনে দিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন সাইক্লিং একটা খেলা। এস অ্যালবেন জানিয়েছে, নিজের মায়ের কথা। মা-ও স্পোর্টসওমেন হতে চেয়েছিলেন। পছন্দ ছিল কবাডি। কিন্তু সেই সময় আন্দামানে পর্যাপ্ত কোচিং পাওয়া যায়নি। নিজের না পাওয়ার বিষয়টিকে ছেলের মধ্যে পাওয়া বিষয় হিসেবে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন এস অ্যালবেনের মা। পোর্ট ব্লেয়ারের নেতাজি সুভা। স্টেডিয়ামের সাই সেন্টারে ভর্তি করে দিয়েছিলেন তিনি।
২০১৫-তে ন্যাশনাল সাইক্লিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে দিল্লি গিয়েছিল এস অ্যালবেন। সেই সময় নিজের পোর্ট ব্লেয়ার থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয় সে। তালিম নিতে থাকে ভারেতর স্প্রিন্টার কোট আরকে শর্মার অধীনে। কোচ আরকে শর্মা জানিয়েছেন, ২০২৪-র গেমসের দিকে তাকিয়ে তালিম পর্ব চলছে। এস অ্যালবেন যে পদক জিতেছে তা অন্য কোনও ভারতীয়ের কাছে নেই।
এস
অ্যালবেন
নিজের
কথা
জানিয়েছে।
সে
বলেছে,
ডায়েরিতে
নিজের
টার্গেট
তৈরি
করে
সে।
একেএকে
সবাইকে
পরাজিত
করে
জয়
পাওয়া।
জানিয়েছে
এস
অ্যালবেন।
এবছরের
জানুয়ারিতে
এশিয়ান
চ্যাম্পিয়নশিপে
অংশ
নিয়েছিল
সে।
আগেরবারের
থেকে
নিজের
রেকর্ডও
ভাল
করেছে
সে।