মহিলা বিশ্বকাপ হকির প্রথম ম্যাচে দুরন্ত ভারত, ফেভারিট ইংল্যান্ডকে গোল দিয়েও খেলা ড্র
মহিলা বিশ্বকাপ হকির প্রথম ম্যাচেই ইংল্য়ান্ডকে আটকে দিল ভারত। এমনকী পরিস্থিতি এমন ছিল যে ভারত এদিন প্রায় জয়ের দোরগোড়ায় চলে এসেছিল।
মহিলা বিশ্বকাপ হকির প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডকে আটকে দিল ভারত। পরিস্থিতি এমন ছিল যে ভারত এদিন প্রায় জয়ের দোরগোড়ায় চলে এসেছিল। ২৫ মিনিটে নেহা গোয়েলের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কিন্তু, ৫৪ মিনিটে ইংল্য়ান্ডের লিলি ওসলে গোল করে সমতা ফেরান।
শনিবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যায় মহিলা বিশ্বকাপে ভারত তাদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল। প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। খেলা ছিল লন্ডনের লি ভ্যালি অ্যান্ড হকি সেন্টারে। এবারের মহিলা বিশ্বকাপ হকিতে ইংল্যান্ড অন্যতম ফেভারিট দল এবং বিশ্ব ক্রম তালিকায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী। এমন এক শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ খেলতে নামাটা যথেষ্টই চাপের। কিন্তু, ভারতীয় মহিলা হকি দল প্রথম থেকেই তেড়ে-ফুঁড়ে আক্রমণ যায়। যার ফল ২৫ মিনিটে নেহার গোল।
ইংল্যান্ডের এই দলটি কতটা শক্তিশালী তা বোঝা যায় তাঁদের কর্ণার আদায় করা দেখে। হকিতে কর্ণার পাওয়াটা অনেকটা ফুটবলে পেনাল্টি পাওয়ার মতো। ইংল্যান্ড দলটি ন'টি কর্ণার আদায় করে নেয়। সেখানে ভারত একটিও কর্ণার আদায় করতে পারেনি। ইউরোপের হকি দলগুলি অবশ্য বহুদিন ধরে এমন ভাবে খেলাটাকে সাজায় যে তারা কর্ণার আদায়েরর খুব কাছাকাছি থাকে। এশিয়ার দলগুলির কাছে একটা সময় এটা সমস্যা ছিল। কর্ণার নির্ভর খেলা এশিয় দলগুলির মধ্যে প্রথম সফলভাবে রূপায়িত করতে পেরেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। একটা সময় ভারতীয় পুরুষ দলেও কর্ণার অত্যন্ত দূর্বল ছিল। এর জন্য একটা সময় হল্যান্ডস থেকে কোচ এনে ভারতের কর্ণার দূর্বলতাকে কাটানো হয়েছিল।
তবে, ভারতীয় মহিলা হকি দল এদিন যে দুরন্ত লড়াকু মানসিকতা দেখিয়েছে তা প্রতিযোগিতার বাকি ম্যাচগুলিতে দেখাতে পারলে উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করছে হকি মহল। ভারতের এই লড়াকু মানসিকতার জন্য ইংল্যান্ডকে গোল পেতে ৫৪ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। খেলার শেষ পনেরো মিনিট এই ম্যাচ এতটাই উপভোগ্য হয়ে ওঠেছিল যে দর্শকরা স্নায়ুচাপে আক্রান্ত হন। দুরন্ত গতির সঙ্গে আক্রমণ ও প্রতিআক্রমণের ঝাঁঝ দেখা যায় ভারত ও ইংল্যান্ড দু'দলের প্লেয়ারদের মধ্যেই। ভারতের পরের ম্যাচ ২৬ জুলাই। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড।