দেশকে গর্বিত করেছে এই সোনাজয়ী বক্সাররা, মাংস না খেয়ে কোথায় পেলেন এত জোর
বিশ্ব বক্সিংয়ে সোনার পারফরম্যান্স ভারতীয় মেয়েদের কিন্তু জানেন কি শক্তিশালী বিদেশি প্রতিপক্ষদের সঙ্গে লড়াই করতে এঁদের ভরসা নিরামিষ খাবার
বিশ্ব বক্সিংয়ে সোনার পারফরম্যান্স ভারতীয় মেয়েদের কিন্তু জানেন কি শক্তিশালী বিদেশি প্রতিপক্ষদের সঙ্গে লড়াই করতে এঁদের ভরসা নিরামিষ খাবার। হ্যাঁ বিশ্বকে এই নতুন বার্তাই দিচ্ছেন ভারতীয় মেয়েরা। তাঁরা রিংয়ে - নিজেদের বাউটে বুঝিয়ে দিচ্ছেন 'হাম কিসি সে কম নেহি'।
মেয়েদের যুব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচটি সোনা জিতেছে ভারত। নিতু, জ্যোতি, সাক্ষী, শশী চোপড়া ও অঙ্কুশিতা বোরো। দেশকে সোনার পদক এনে দিলেন পাঁচ মেয়ে। কিন্তু এঁদের অধিকাংশই নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস পালন করেন।
গুয়াহাটিতে ছিল যুব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ ভারতীয় মেয়েদের জয়জয়কার। দেশের হয়ে প্রথম প্রতিনিধিত্ব করতে নামেন নিতু। কাজাকিস্তানের জাজিরা উড়াকবায়েভার বিরুদ্ধে ৫-০ স্কোরে জেতেন। পাশাপাশি ২০১৮ যুব অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করে নিলেন তিনি। প্রতিপক্ষ রাশিয়ার একাতেরিনা মোলশোনাভা হারিয়ে জ্যোতি জেতেন ৫-০ স্কোরে।
লাইট ওয়েল্টার ওয়েট ফাইনালে রাশিয়ান প্রতিনিধিকে হারিয়ে জেতেন অঙ্কুশিতা বোরো। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন। বান্তামওয়েট ফাইনালে ভিয়েতনামের ডু হংকে ৪-১ স্কোরে হারালেন সাক্ষী।
এই মেয়েদের দায়িত্ব থাকা কোচ রাফায়েল বেরগামাস্কো প্রথমে দায়িত্ব নেওয়ার পরই বাকি পাঁচজন পেশাদার কোচের মতই ছাত্রীদের ডায়েটে নজর দিয়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই শারীরিক দক্ষতার এই খেলায় ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মাংসভিত্তিক খাদ্যই বাতলেছিলেন । কিন্তু তারপর জানতে পারেন দলের বেশ কিছু বক্সার আছেন যাঁরা নিরামিষ খাবার খান। এখন ভারতীয় জুনিয়র বক্সিং দলের কোচ জানিয়েছেন, শক্তি তো শুধু মাংস থেকেই পাওয়া যায়না , আরও খাবার আছে যাতে প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই সেই ডায়েট মেনে চলছে তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা। আর পাশাপাশি মনের জোর বাড়িয়ে দিয়েছেন এই কোচ। যাঁর বলে বলিয়ান হয়ে মাংশাসী, অর্থাৎ তথাকথিত অধিক শক্তিশালী প্রতিপক্ষদের হেলায় হারাচ্ছে ভারতের জুনিয়ররা।