'ইয়ে আরাম কা মামলা হ্যায়', তাই শাড়িতে না ভারতীয় মহিলাদের
এবারের কমনওয়েলথ গেমস প্যারাডে শাড়ি পড়ে হাঁটবেন না ভারতীয় মহিলারা , প্লেয়ারদের মত আলাদা।
শাড়িতে না ভারতীয় মহিলাদের। হ্যাঁ যেটা পড়লেন সেটাই লেখা হয়েছে। দিন কয়েক আগেই সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় ভারতীয় মহিলাদের শাড়ি পড়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। যার জেরে তাঁকে ক্ষমাও চাইতে হয়।
এর আগে অলিম্পিক্স , এশিয়ান গেমস কিম্বা কমনওয়েলথ গেমসের মঞ্চে যখন দেশের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতীয় দলের অ্যাথলিটরা যেতেন তখন পুরুষরা ব্লেজার ও ট্রাউজারস পড়লেও মহিলা অ্যাথলিটরা শাড়ি পড়তেন। কিন্তু এবার থেকে আর সেটা হবে না।
গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক্স সংস্থা -র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহিলাদের জন্য এ বার শাড়ি এবং ব্লেজারের পরিবর্তে পোশাক হিসেবে ব্লেজার এবং ট্রাউজার বেছে নিয়েছে। অ্যাথলিটদের প্রতিনিধি এবং সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আইওএ জানিয়েছে, '২০১৮ গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের মহিলা অ্যাথলিটরা ব্লেজার এবং ট্রাউজার পরবেন।'
এবার এপ্রিলের ৪ থেকে ১৫ তারিখ অবধি হবে গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমস। তাতে অংশ নেবেব ২২৫ জন মহিলা অ্যাথলিটরা যেহেতু খুব বেশি শাড়ি পড়েন না তাই এই পোশাকটিতে তাঁদের স্বাচ্ছন্দ্য়ের অভাব হয়। আর অ্যাথলিটদের বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য দিতেই ইন্ডিয়ান অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশান এই ধরণের সাহসি সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে।
আইওএ সচিব রাজীব মেহেতার কথাতেই এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে, তাতে জানানো হয়েছে অ্যাথলিটদের এত দীর্ঘক্ষণ শাড়ি পরে থাকতে সমস্যা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা ধরে চলে। পাশাপাশি শাড়ি পড়িয়ে দেওয়ার লোকও দরকার হয়। এই সব ধরণের অসুবিধাকে কাটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিটরা ঘন নীল রঙের ব্লেজার ও ট্রাউজার পড়বেন দলের পুরুষ সদস্যদের মতোই। তবে এই পোশাক পরিবর্তনে আবার বিভিন্ন মত দিয়েছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা । যেমন শ্যুটার হিনা সিধু জানিয়েছেন ব্লেজার আর ট্রাউজার নিশ্চিতভাবে স্বাচ্ছন্দ্য দেয়,তবে সেটা একটু বেশি পুরুষসুলভ তবে যদি ব্লেজার ও স্কার্ট পড়তে দেওয়া হত তাহলে আরও ভালো হত। আবার শাটলার জ্বওলা গুট্টা জানিয়েছেন তাঁর খুব পছন্দের পোশাক শাড়ি। তাঁর মনে এটা পড়ে হাঁটলে তাঁকে ভারতীয় বলে মনে হত। ফলে অ্যাসোসিয়েশান তাঁদের স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পারত যাতে তাঁরা নিজেদের পছন্দের পোশাক পড়তে পারেন।