যোগা ইনস্ট্রাক্টার হয়ে মহিলাদের অন্দরমহলে, তারপর যা ঘটল, এখন লকআপে জাতীয় জুডো প্লেয়ার
যোগা ইনস্ট্রাক্টার হয়ে বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। তারপর শুরু হত অশ্লীল সব এসএমএস আর হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ পাঠানো। এখানেই শেষ নয় ফেসবুকেও মেসেঞ্জারে পাঠানো হত এমনই সব অশ্লীল মেসেজ।
যোগা ইনস্ট্রাক্টার হয়ে বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। তারপর শুরু হত অশ্লীল সব এসএমএস আর হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ পাঠানো। এখানেই শেষ নয় ফেসবুকেও মেসেঞ্জারে পাঠানো হত এমনই সব অশ্লীল মেসেজ। কেউ আপত্তি করলে সঙ্গে সঙ্গে অশ্লীল মর্ফড ছবি পোস্ট হত সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী, ফেক প্রোফাইল খুলে সেখানে টাঙিয়ে দেওয়া হত অশ্লীল সব ছবি।
শেষমেশ এই যোগা ইনস্ট্রাক্টরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে সনু শর্মা নামে এই যোগা ইনস্ট্রাস্টকটর জাতীয় পর্যায়ের একজন জুডো প্লেয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে হরিয়ানার ভিওয়ানি এবং উত্তর ও পশ্চিম দিল্লি এলাকায় একাধিক মহিলার সঙ্গে এমন যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ২৭ বছরের সনু শর্মার বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, যোগা ইনস্ট্রাক্টর হয়ে সনু তাঁর বাড়িতে আসে। এক বান্ধবীর কাছ থেকে সনুর নম্বর তিনি পেয়েছিলেন। কিন্তু, পরিচয়ের দিন কয়েকের মধ্যেই সনু ওই মহিলাকে নানা অশ্লীল এসএমএস পাঠাতে থাকে বলে অভিযোগ। এমনকী ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ-এও তাঁর অশ্লীল মর্ফড ছবি পোস্ট করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে সনুকে ওই মহিলা কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন। এতে সনু আরও রেগে গিয়ে ফেসবুকে ওই মহিলার নামে ফেক প্রোফাইল খোলে বলে অভিযোগ। সেখানে নানা অশ্লীল মর্ফড ছবি পোস্ট করতে থাকে।
এই মহিলা থানায় অভিযোগ জানানোর দিন পনেরো পরেই তাঁরই পরিচিত বছর ষোল-র এক কিশোরীও সনুর বিরুদ্ধে অনুসরণ করা থেকে শুরু করে অনলাইনে যৌন হেনস্থা, অশ্লীলতা ছড়ানো থেকে শুরু করে কারোর পরিচয়কে নোংরা করার অভিযোগ আনে। দুটি অভিযোগই সিভিল লাইন এবং মিঁঞাওয়ালি নগর থানায় দায়ের হয়। মিঁঞাওয়ালি থানায় সনুন নামে দায়ের হওয়া আরও কয়েকটি অভিযোগের সন্ধান মেলে। জানা যান এরকম একাধিক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেছে সনু। এরপরই সনুর বিরুদ্ধে তদন্তে নামে পুলিশ। ভিওয়ানির হান্সি রোডে সনুর সন্ধান মেলে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য মাথার চুল মুড়িয়ে নিয়েছিল সনু, যাতে তাকে অন্যরকম দেখতে লাগে।
হান্সি রোডের একটি বাড়িতে এক বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিল সনু। পুলিশ দেখে সে পালাতে শুরু করে। তার বান্ধবী সিভিল ড্রেসে থাকা পুলিশকে অপহরণকারী বানিয়ে দেয়। চিৎকার করে সে সাধারণ মানুষকে জড়ো করতে থাকে এই বলে যে, তাঁর বন্ধুকে কিডন্যাপ করা হচ্ছে। সনু এই সুযোগে পালিয়ে একটি গাড়িতে উঠে দরজা লক করে দেয়। এই ঘটনার জেরে হান্সি রোডে তীব্র যানজট হয়। সমস্যায় পড়েন বহু মানুষ। শেষ পর্যন্ত সনুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তকারী অফিসাররা সনুর নামে ১০টি ফেক ফেসবুক প্রোফাইল খুঁজে পেয়েছেন। যাতে অশ্বীল যৌনতার মেসেজ সমানে পোস্ট করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে সনু জাতীয় স্তরে জনিয়র জুডো-র স্বর্ণপদক জয়ী। এরমধ্যে ২বার জাতীয় স্কুল পর্যায় এবং জাতীয় পর্যায়ে ফেডারেশন কাপেও সেরা হয়েছিল।