রুপো জিতুন বা সোনা, প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়রা 'খেলরত্ন' পাবেন না!
নয়াদিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর : রিও অলিম্পিকে দেশকে ব্রোঞ্জ জিতিয়ে এনে খেলরত্ন পুরস্কার পেয়েছেন সাক্ষী মালিক। এমনকী কোনও পদক না জিতেও এই একই সম্মানের অধিকারী হয়েছেন ত্রিপুরার বাঙালি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। শুধু কী সম্মান, এক লহমায় কোটিপতি বনে গিয়েছেন এই ক্রীড়াবিদরা। [রিও প্যারালিম্পিক : জ্যাভলিন থ্রোয়ে বিশ্বরেকর্ড করে সোনা ভারতের দেবেন্দ্রর]
আর এদিকে সেই রিওতেই বসেছে প্যারালিম্পিকের আসর। যার খবর সেভাবে সংবাদমাধ্যমে আসছে না, কোনও টিভি সম্প্রচার করছে না। তাই অলিম্পিকের মতো মঞ্চে দেশকে সোনা এনে দিয়েও প্রচার বিমুখ যেমন থাকতে হচ্ছে দেবেন্দ্র ঝাঝরিয়া অথবা রুপোজয়ী দীপা মালিককে, তেমনই সরকারি সম্মানও জুটবে না তাঁদের। [প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে প্যারালিম্পিক্সে রুপো জিতলেন দীপা মালিক]
সাধারণভাবে অলিম্পিকে পদক পেলে স্বাভাবিকভাবেই সেই খেলোয়াড় খেলরত্ন সম্মানের জন্য মনোনীত হয়। তবে এরা যেহেতু প্রতিবন্ধী অর্থাৎ প্যারালিম্পিক খেলোয়াড়, তাই রুপো জিতুন অথবা সোনা এরা যে খেলরত্ন পাবেন না তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গোয়েলের কথাতেই।
এই নিয়ে জিজ্ঞাসা করাতে বিজয় গোয়েল জানিয়েছেন, এই অলিম্পিয়ানরা খেলরত্ন পাবেন কিনা তা তিনি কথা দিতে পারছেন না। তিনি বলেন, প্যারালিম্পিয়ানরা দেশকে গর্বিত করেছেন তাতে সন্দেহ নেই। তবে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও নীতি নেই যার ভিত্তিতে প্যারালিম্পিয়ানদের খেলরত্ন দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ এককথায় পালিয়ে বেঁচেছেন তিনি।
এই বক্তব্য শোনার পরে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেন এতদিনে কেন্দ্র এই সামান্য নীতিটুকু তৈরি করতে পারেনি তা নিয়েই সরব সবমহল। এর পাশাপাশি রয়েছে সামাজিক সাম্য ও অধিকারের প্রশ্ন। প্রতিবন্ধী বলে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করা অনুচিত বলেই ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য।
প্রসঙ্গত, অলিম্পিকে ভারতের সর্বোচ্চ বলতে ছিল ব্যাডমিন্টনে পিভি সিন্ধুর রুপো জয়। এদিকে প্যারালিম্পিকে ইতিমধ্যে হাই জাম্পে মারিয়াপ্পন থাঙ্গাভেলু ও জ্যাভলিন থ্রোয়ে দেবেন্দ্ ঝাঝরিয়া সোনার পদক জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন। এছাড়াও একটি ব্রোঞ্জ ও একটি রুপোর পদক পেয়েছে ভারতের প্যারালিম্পিয়ানরা।