ডিসেম্বরেই নতুন জুটি! কোর্টের এদিক-ওদিক কীভাবে ছড়ালো প্রেম, মিস্টি কাহিনি জানালেন সাইনা
সাইনা নেহওয়াল ও পারুপল্লি কাশ্যপের সঙ্গে বিয়ের তারিখ নিশ্চিত করলেন। জেনে নিন এই দুই শটলারের মিষ্টি প্রেমের কাহিনী।
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে প্রিমিয়ার ব্যাডমিন্টন লিগ। পিবিএল শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যাবে টোকিও অলিম্পিক গেমসের যোগ্যতা অর্জনের খেলা। তাই হাতে একটিই দিন পড়ে আছে। ১৬ ডিসেম্বর। ওই দিনই পারুপল্লি কাশ্যপের ঘরণী হয়ে উঠবেন ব্যাটমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়াল।
কিন্তু এই দুই শাটলারের সম্পর্কটা কিন্তু আজকের নয়। আজকের এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগেও সেই ২০০৭ সাল থেকে হওয়া সম্পর্কটা এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালেই রেখে দিয়েছিলেন দুজনে। একবার বিয়ের কথা জানিয়ে দেওয়ার পর কিন্তু আর এই নিয়ে মুখে আগল রাখছেন না সাইনা।
অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বিতর্কিত
"অভিনেতা অভিনেত্রীদের কেন্দ্র করে খুব সহজেই বিতর্ক তৈরি করা যায়। আর তাতেই আমার রাগ। এটা অদ্ভুদ এবং গোপনীয়তা লঙ্ঘণের সমান। এটা ঠিক নয়। ভারতে যদি সত্যিই নিষিদ্ধ করতে হয়, তাহলে এই ধরণের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা উচিত।"-প্রীতি
সম্পর্কের শুরু
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন ব্যাডমিন্টক কোর্টের এক রোমান্টিক কাহিনি। তিনি জানিয়েছেন ২০০৭-০৮ থেকেই তাঁরা দুজনেই বিভিন্ন ট্যুরের জন্য একসঙ্গে যাতায়াত শুরু করেন। একই টুর্নামেন্টেই অংশ নিতেন। ট্রেনিং-ও করতেন অনেকসময়ই একসঙ্গে।
এই অভিনয়ের জন্য সাহসের প্রয়োজন
"এই ধরণের দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য প্রয়োজন অনুশাসন ও আত্মৎসর্গের প্রয়োজন। এই ধরণের অভিনয় অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এই ছবির বিষয়বস্তু একটা কারণ আছে। আর তাই আমরা এই বাস্তব দিকটা তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আসলে আমরা দুঘন্টায় কড়া বাস্তবটাকে পর্দায় তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।"- প্রীতি
কোর্টেই প্রেম
এভাবেই ধীরে ধীরে একে অপরের খেলায় আগ্রহ জন্মেছিল। কাশ্য়পের ম্যাচের খবর রাখতেন সাইনা, সাইনার ম্যাচের খবর রাখতেন কাশ্যপ। প্রতিযোগিতার পরিবেশে প্রেম হওয়াটা কঠিন হলেও এভাবেই দুজনে কাছাকাছি চলে এসেছিলেন। তাঁরা একে অপরের খেলা নিয়ে কথা বলতেন। ভুল-ত্রুটি নিয়েও চলত আলোচনা। হারলে দিতেন স্বান্তনা, জিতলে খুশি ভাগ করে নিতেন। সাইনাকে সাহায্য় করার জন্য ইদানিং কাশ্যপ নিজের খেলার পাশাপাশি কোচিং করানোও শুরু করেছেন।
যৌনতার সুড়সুড়ি নয়, বাস্তব তুলে ধরাটাই উদ্দেশ্য
"আমাদের উদ্দেশ্য কখনও দর্শককে যৌন সুড়সুড়ি দেওয়া নয়। আর এর জন্য সাহসের প্রয়োজন।" - প্রীতি
বিয়ের সিদ্ধান্ত
তবে খেলার স্বার্থেই সেভাবে কোনওদিনই বিয়ের কথা তাঁরা ভাবতে চাননি। সাইনা জানিয়েছেন একজন খেলোয়াড়ের ঠিক একটি শিশুর মতোই যত্নের প্রয়োজন হয়। যা তিনি নিজের বাড়িতে পেয়ে থাকেন। কিন্তু বিয়ের পর তো দায়িত্ব নিতেই হয়। তবে এখন কমনওয়েল্থ গেমস ও এশিয়ান গেমস শেষ। অলিম্পিকের আগে একটু ফাঁকা সময় পেয়ে তাঁরা মনে করছেন দুজনে মিলে পুরোটা সামলে নিতে পারবেন।
নিষিদ্ধ হবে কেন?
"সমকামিতা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সমাজে কীভাবে বিরাজ করছে তা নিয়েই মূলত এই ছবিটি। কোনও কিছু কেন নিষিদ্ধ করা হবে? আমাদের কী দর্শকের বুদ্ধিমত্তায় একটুও ভরসা নেই। ছবিটি তে কী বার্তা দেওযা হয়েছে তা বোঝার জন্য তো সিনেমাটা দেখার প্রয়োজন রয়েছে।"- প্রীতি
বোলনে কি জরুরত নেহি পাড়ি
বাইরের দুনিয়ার কাছ থেকে সফলভাবে নিজেদের সম্পর্কটা চেপে রাখলেও নিজের বাবা-মার চোখে কিন্তু ধরা পড়ে গিয়েছিলেন সাইনা। তাই তিনি জানিয়েছেন কাশ্যপকে যে তাঁর পছন্দ এ কথা বাড়িতে 'বোলনে কি জরুরত নেহি পাড়ি'। বাবা-মাও তাঁর ট্যুরের সঙ্গী হতেন।সাইনা জানিয়েছেন তখনই তাঁরা লক্ষ্য করেছিলেন ম্যাচ হারার পরও কে তাঁদের মেয়ের মন ভাল করে দেয়।