বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে ফের বাঙালি মেয়ে, তাঁকে নিয়ে কী বলছেন কোচ গোপীচাঁদ
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় সোমবার থেকে শুরু বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ। আর সেখানে দীর্ঘ দুই দশকের অপেক্ষার পর, দ্বিতীয় বাঙালি মহিলা হিসাবে খেলতে নামছেন হলদিয়ার ঋতুপর্ণা দাস।
স্কটল্যান্ডের
গ্লাসগোয়
সোমবার
থেকে
শুরু
বিশ্ব
ব্যাডমিন্টন
চ্যাম্পিয়নশিপ।
আর
সেখানে
দীর্ঘ
দুই
দশকের
অপেক্ষার
পর
,দ্বিতীয়
বাঙালি
মহিলা
হিসাবে
খেলতে
নামছেন
হলদিয়ার
ঋতুপর্ণা
দাস।
এর
আগে
,
ব্যাডমিন্টনে
বাংলার
মধুমিতা
গোস্বামীর
উল্লেখযোগ্য
পারফরম্যান্স
ছিল।
বিশ্ব
র্যাঙ্কিং-এ
ঋতুপর্ণা
এখন
৪৬
নম্বরে।সোমবার
প্রতিযোগিতার
প্রথম
রাউন্ডের
ম্য়াচে
ঋতুপর্ণার
মুখোমুখি
হচ্ছেন
ফিনল্যান্ডের
আরি
মিকেলা।
উল্লেখ্য, সোমবারের ম্যাচে ঋতুপর্ণার প্রতিদ্বন্দ্বী আরি মিকেলা তাঁর থেকে ৮ ধাপ পিছিয়ে ৫৪ নম্বরে রয়েছে। এদেশে , ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধু ও সাইনা নেওয়ালের উজ্জ্বলতার আড়ালেই নীরবে তিলে তিলে নিজেকে গড়ে তুলেছেন ২১ বছর বয়সী ঋতুপর্ণা।
এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সিঙ্গলসে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন ভারতের ৪ মহিলা খেলোয়াড়। সাইনা, সিন্ধুর সঙ্গে ঋতুপর্ণা ও তনভি লাড। এর আগে ১৯৮৫ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের ৪ জন মহিলা খেলোয়াড় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁরা হলেন হাফরিস নরিম্যান, আমি ঘিয়া, দীপ্তি থানেকার ও মধুমিতা গোস্বামী।
বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন সবার নজর যে এবারে সিন্ধু কিংবা সাইনার দিকেই টিকে থাকবে তা বলা বাহুল্য। তবে ঋতুপর্ণা সম্পর্কে আশাবাদী কোচ পুলেল্লা গোপীচাঁদ। তিনি জানিয়েছেন, 'ঋতুপর্ণার সামনে এটা বড় সুযোগ। এখানে ও কতটা এগোবে, সেটা বড় ব্যাপার নয়। আসলটা হল অভিজ্ঞতা অর্জন। ওর সামনে এখন অনেক সময় পড়ে রয়েছে। এখানকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেকে আরও ভালভাবে গড়ে তুলতে পারবে। সাইনা, সিন্ধুর পর ভারতের পতাকা তো ওর হাতেই থাকবে।'
ঋতুপর্ণা তাঁর কোচ গোপীচাঁদের নজরে আসেন ২০০৮ সালে। সেই সময়ে পাটনা অনূর্ধ্ব ১৩ জাতীয় প্রতিযোগিতায় খেলছিলেন তিনি। তারপরই তাঁকে হায়দরাবাদ নিয়ে যান গোপীচাঁদ। যে পাটনায় অনূর্ধ্ব ১৩ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে সবার নজর কেড়েছিলেন তিনি, সেই পাটনাতে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হয়েছেন প্রথম সিনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ২০১৬ সালে জিতেছেন দুটো বড় খেতাব, ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সিরিজ ও পোলিশ ইন্টারন্যাশনাল।