যৌন নিগ্রহকারীরা ছুঁয়েছে তাঁর শরীরও, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ অলিম্পিক্সে সোনা জয়ীর
নৈশঃব্দ্য ভাঙলেন সিমোনে বাইলস। আরও একবার সামনে এল #মি টু ক্যাম্পেনের এক করুণ কাহিনী।
নৈশঃব্দ্য ভাঙলেন সিমোনে বাইলস। আরও একবার সামনে এল #মি টু ক্যাম্পেনের এক করুণ কাহিনী। পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক, আপনি যৌন হেনস্তার শিকার না হলে আপনি ভাগ্যবান। কারণ সর্বত্রই এর শিকার হতে হয় কার্যত সকলকেই।
[আরও পড়ুন:অনুষ্কার জন্য বিরাট যা করলেন মন কেড়ে নেবে সব প্রেমিক-প্রেমিকার]
এরকমই নিজের জীবনের যৌন হেনস্তার বয়ানের বর্ণনা দিলেন রিও অলিম্পিক্সে -র সোনাজয়ী জিমন্যাস্ট সিমোনে বাইলস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্য়াস্টিক দলের চিকিৎসক তাঁকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন বলে অভিযোগ জানান সিমোনে।
সিমোনে একাই নন এর আগেও ক্রীড়াবিশ্বের বিভিন্ন মানুষজন নিজেদের যৌনহেনস্তার বিবরণ দিয়েছেন এই #মি টু ক্যাম্পেনের হাত ধরে। এবার সেইরকমই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জানালেন সিমোনে। তিনি ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সে দলগত, অল রাউন্ড, ভল্ট ও ফ্লর এক্সারসাইজ়ে সোনা জেতেন।
টুইটারে এই বিষয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়েছে সিমোনে। তিনি জানিয়েছেন, ' বেশিরভাগ মানুষ আমাকে হাসিখুশি, প্রাণবন্ত হিসেবে জানে। কিন্তু, কিছুদিন ধরে আমি ভেঙে পড়েছি। মুখ বন্ধ করে রেখেছিলাম। এখন আর আমার জীবনের গল্প বলতে ভয় পাই না। ল্যারি নাসারের হাতে আমিও যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলাম। সত্যি বলছি, মুখে বলার থেকে লিখে প্রকাশ করা অনেক শক্ত কাজ। তাই, আমি আমার সঙ্গে হয়ে যাওয়া ঘটনা শেয়ার করতে কুণ্ঠাবোধ করছিলাম। কিন্তু, আমি জানি, এতে আমার কোনও দোষ ছিল না।'
[আরও পড়ুন:চোটের জন্য দলের বাইরে ঋদ্ধি ,শিকে ছিঁড়ল দীনেশ কার্তিকের]
সিমোনে বাইলস অবশ্য একা নন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক টিম মেম্বার এই বিষয়ে নিজেদের মুখ খুলেছেন। এদিকে সিমোনা বাইলস আরও জানিয়েছেন, যাঁকে ভরসা করার কথা সকলের তিনিই যদি ভরসা ভাঙেন তাহলে কেউ কী করতে পারে। সিমোনে জানিয়েছেন তাঁর কাছে ট্রমাটা এত বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে ২০২০ সালের প্রস্তুতির কাজেও যেতে ভয় করত। মনে হত যে পরিকাঠামোয় গিয়ে নিজের সাধনা করেন তিনি, সেখানেই তো তাঁকে এই ধরণের কুৎসিত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।
সিমোনে আরও জানিয়েছেন, 'নাসারের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। অবমাননাকর। আমাকে বিশ্বাস করতে বলেছিল। বেশ কিছুদিন ধরে আমি নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসা করছিলাম। প্রশ্ন করছিলাম, আমি কি এতই সাদামাটা ? এখানে আমার ভুল আছে ? এখন প্রশ্নের জবাব পেয়েছি। না, আমার কোনও ভুল নেই। তাই, কারোর নাম প্রকাশ্যে আনতে আর ভয় পাই না।' আরও বলেন , 'আমার বন্ধুদের থেকেও অত্যাচারের কথা শুনেছিলাম। ওদের লড়াই জানতে পেরেছিলাম। তাই, ওদের সাহসী গল্পগুলো আমাকে আরও সাহস জুগিয়েছে। সবশেষে একটা কথা বলতে চাই, হাল ছাড়ব না।'
জেনে রাখা ভালো, শিশুকে যৌন নির্যাতনের ছবি কম্পিউটারে রাখায় নাসারকে ৬০ বছরের কারাদণ্ড সাজা কাটছেন। পাশাপাশি মহিল জিমন্যাস্টদের যৌন হেনস্তার কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এখন এইক্ষেত্রে তাঁর কী সাজা হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় ক্রীড়ামহল।