অলিম্পিক নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা, আগে ভ্যাকসিন পরে অলিম্পিক! কেন, জেনে নিন
অলিম্পিক নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা, আগে ভ্যাকসিন পরে অলিম্পিক! কেন, জেনে নিন
প্রাণঘাতী করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ। করোনা থেকে কবে পুরোপুরি নিস্তার পাওয়া যাবে জানা নেই। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে চলছে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ। ভাইরাসের সংক্রমে বিশ্বের মৃত্যু সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার পর গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের পরিবর্তে ২০২১ সালে টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা। এবার নতুন করে অলিম্পিক নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে গেল।আগামী বছরও গেমস আয়োজন করা যাবে কিনা, সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেন আগামী বছরেও অলিম্পিক নিয়ে অনিশ্চয়তা
বিশেষজ্ঞ মহলের মত করোনা ভাইরাসের প্রভাব এত সহজে যাবে না। এই ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে ব্যপক ক্ষতি চালিয়েছে। এখন ভাইরাসের যথাযত প্রতিষেধক তৈর হলে ঝুঁকি কমবে। প্রতিষেধকের ব্যবহার বাড়তে থাকলে বিশ্বের চিন্তা কমবে। নতুন করে ভাইরাসের সংক্রমণে রোধ করা যাবে। যে পরিস্থিতিতে অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে কোনও দুঃশ্চিন্তা থাকবে না।
বিজ্ঞানীরা যা বলছেন
করোনা ভাইরাসে জন্য টোকিও অলিম্পিক এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। যারপর জাপানের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক দেবী শ্রীধর স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘যথাযথ প্রতিষেধক আবিষ্কারের উপরেই আগামী বছর অলিম্পিকের আয়োজনের বিষয়টি নির্ভর করছে।'
প্রতিষেধকই এখন গেম চেঞ্জার
অধ্যাপক শ্রীধর আরও জানিয়েছেন, ‘বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, খুব শিগগিরই করোনার প্রতিষেধক চলে আসবে। তবে আমার মনে হয় না এক বছর বা দেড় বছরের আগে কিছু হবে। প্রতিষেধক চলে এলে কোনও সমস্যা নেই। ওটাই হবে গেম চেঞ্জার।'
অলিম্পিক কমিটির মত
প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) ও টোকিও অলিম্পিক আয়োজকরা চলতি সপ্তাহেই গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড মিটিং করে। ২০২১ সালে টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে সেই মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। মিটিংয়ের পর যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী বছর অলিম্পিক আয়োজন নিয়েও বিশেষ আশার আলো তারা দেখছেন না।
কী জানানো হয়েছে
আইওসি কর্মকর্তা জন কোটস জানিয়েছেন, এবছর অলিম্পিক করোনার কারণে যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছে। যা ২০২১ সালেও হবে বলে অনুমান। ২০২১ সালেও টুর্নামেন্ট হওয়া নিয়ে আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মেনে গেমসে অ্যাথলিটদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও দর্শক সমাবেশের ক্ষেত্রে সতর্কতা নেওয়া আবশ্যক। আর এখানেই প্রতিষেক প্রয়োজন নইলে, নতুন করে সংক্রমণে শুরু হলে আবার সংকট তৈরি হতে পারে।