অ্যাথলেটিক্সে সোনা জয়ী অসমের হিমা দাসের উত্থান কোনও রূপকথার চেয়ে কম নয়

মাত্র ২ বছরে সবার চোখে

১৮ বছরের হিমা ২ বছর আগেও অ্যাথলেটিক্স করতেন না। দৌড়নোর স্পাইক জুতো, খেলার সরঞ্জামের সঙ্গে তাঁর পরিচিতি ছিল না। মাত্র দুই বছরের কম সময়ে কেউ প্রশিক্ষণ নিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিততে পারে, তা এককথায় স্বপ্নেও কল্পনা করা কঠিন।

অসমের মেয়ে

হিমার বাড়ি অসমের নগাঁও জেলার ধিং গ্রামে। বাবা রঞ্জিত দাস চাষবাসের কাজে যুক্ত। ছয় সন্তানের মধ্যে হিমাই সবচেয়ে ছোট। মা জোমালি দাস সংসারের কাজ সামলাতে ব্যস্ত থাকেন।

ধান ক্ষেতে দৌড় শুরু

ছোট থেকেই ছেলেদের সঙ্গে চুটিয়ে ফুটবল খেলতেন হিমা। ধান ক্ষেতে ফুটবল খেললেও তিনি যে কোনওদিন ট্র্যাক ও ফিল্ডে কামাল করতে পারবেন না হিমা কোনওদিনও ভাবেননি।

কোচের নজরে

তবে এভাবেই একদিন হিমার প্রতিভা চোখে পড়ে যায় এক স্থানীয় কোচের। তিনি অ্যাথলেটিক্স শেখাতেন। তারপরে হিমা চোখে পড়েন নিপনের। তিনিও অ্যাথলেটিক্স কোচ ছিলেন। সঙ্গে ডিরেক্টরেট অব স্পোর্টস অ্যান্ড ইয়ুথ ওয়েলফেয়ারের দায়িত্বে ছিলেন।

হিমার এটাই সেরা রেকর্ড নয়

তাম্পেরেতে ৫১.৪৬ সেকেন্ডে সোনা জিতলেও এটা হিমার সেরা পারফরম্যান্স নয়। কিছুদিন আগে গুয়াহাটিতে হওয়া ইন্টার স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে হিমা ৫১.১৩ সেকেন্ডে ৪০০ মিটার দৌড় শেষ করেন।

সোনার কৃতিত্ব

এই প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতলেন। যা আগে কেউ করে দেখাতে পারেননি। এটাই শেষ নয়। বিশ্ব আসরে প্রথম ভারতীয় হিসাবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে কেউ সোনা জিতলেন। এই কৃতিত্ব সোনার অক্ষরে লেখার মতো।