শেষ হয়ে যাওয়া রিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিততে পারেন দীপা কর্মকার?
নয়াদিল্লি, ১৪ সেপ্টেম্বর : রিও অলিম্পিক শেষ হয়ে গিয়েছে তা বেশ কিছুদিন হল। তবে এখন নতুন করে সেই রিও অলিম্পিকেই দুটি পদক পাওয়ার আশা দেখছে ভারতে। বিষয়টা বেশ জটিল। তবুও রাশিয়ার হ্যাকিং দলের দাবি সত্যি হলে রিও অলিম্পিকে জিমন্যাস্টিক বিভাগে দীপা কর্মকার এবং মিক্স ডবলস টেনিসে সানিয়া মির্জা ও রোহন বোপান্না জুটি ২টি পদক আনতে পারেন ভারতের জন্য ।
এখন প্রশ্নটা হল কীভাবে তাই তো?
আসল বিষয়টা কী?
আসলে রাশিয়ার একটি হ্যাকিং গোষ্ঠী অভিযোগ তুলেছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি ওরফে ওয়াডা আমেরিকার টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস ও ভেনেস উইলিয়ামস এবং রিও অলিম্পিকের সোনাজয়ী জিমন্যাস্ট সিমন বাইলসকে নিষিদ্ধ পদার্থ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। তাদের দাবি ওয়াডার ডেটাবেস হ্যাক করে এই তথ্য তারা জানতে পেরেছে। বহু আমেরিকান অ্যাথলেটের শরীরেই নাকি নিষিদ্ধ উপাদান পাওয়া গিয়েছে। যার রিপোর্ট ওয়াডার ডাটাবেসে মজুত রয়েছে।
শুধু তাই নয়, রিও অলিম্পিকের মেডেলজয়ী অ্যাথলেটরা নাকি নিয়মিতভাবে নিষিদ্ধ ড্রাগ গ্রহণ করত। যার জন্য চিকিৎসকের মঞ্জুরীও পেয়েছিল তারা। সাফ কথায় বলতে গেলে ডোপিংয়ের জন্য লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছিলেন এই অ্যাথলেটরা, এমনটাই দাবি ওই হ্যাকিং গ্রুপের।
মেডেল জয়ে ভারতের আশা কতখানি?
জিমন্যাস্টিকের যেই ইভেন্টে সিমন বাইলস সোনা জিতেছেন সেই ইভেন্টেই প্রোদুনোভা ভল্ট প্রদর্শনের পর চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিলেন ভারতের দীপা কর্মকার। এখন রাশিয়ার হ্যাকিং গ্রুপের দাবি যদি সত্যি হয় এবং সত্যিই যদি সিমন বাইলসের ডোপিং পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে তাহলে তার সোনা হাতছাড়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী উঠে আসবে প্রথমে, তৃতীয় স্থানাধিকারি উঠে আসবে দ্বিতীয়তে। এবং দীপা যিনি চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিলেন, উঠে আসবেন তৃতীয়তে। অর্থাৎ দীপার ঝুলিতে আসবে ব্রোঞ্জ পদক।
অন্যদিকে, ভেনেসা উইলিয়ামসের বিরুদ্ধেও ডোপিংয়ের অভিযোগ তুলেছে ওই হ্যাকিং গোষ্ঠী। রাজীব রামের সঙ্গে জুটি বেঁধে সানিয়া ও বোপান্নাকে সেমিফাইনালে হারিয়েছিলেন ভেনেসা। সেক্ষেত্রে ভেনেসা ও রাজীবের পদক বাতিল হতে পদক পেতে পারে সানিয়া-বোপান্না জুটি।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে পুরোটাই আষাঢ়ে কল্পনা। ওয়াডার তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সিমন বাইলসও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হ্যাকিং দলের দাবি ছাড়া অভিযোগের আর কোনও ভিত্তিই নেই। তাই ভারতের আরও ২টি পদক জেতার আশা ক্ষীণ বলেই মনে করছে ক্রীড়া মহল।