অঘটনের তালিকা ক্রমেই প্রলম্বিত, মেসিদের মতোই আটকে গেল ব্রাজিলের বিজয়রথ
বড় অঘটন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হার মেক্সিকোর কাছে। তারপর এবার বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার ব্রাজিলের সুইজারল্যান্ডের কাছে আটকে যাওয়াটা কম অঘটনের নয়।
অঘটনের তালিকা ক্রমেই প্রলম্বিত হচ্ছে। রাশিয়া বিশ্বকাপের চতুর্থ দিনে জোড়া অঘটন বললেও অত্যুক্তি হয় না। অবশ্যই সবথেকে বড় অঘটন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হার মেক্সিকোর কাছে। তারপর এবার বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার ব্রাজিলের সুইজারল্যান্ডের কাছে আটকে যাওয়াটা কম অঘটনের নয়।
তেমনই সবথেকে আলোচিত মেসির আর্জেন্তিনার আইসল্যান্ডের কাছে আটকে যাওয়াটাও অঘটনের। সেই নিরিখে এবার প্রথম থেকেই যে অঘটন ঘটতে চলেছে, তার খেসারত বড় দলগুলোকে দিতে হবে কি না, তা পরবর্তী দু-রাউন্ডের পরই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তবে একথা বলে দেওয়াই যায়, এখন পর্যন্ত রোনাল্ডো ছাড়া কোনও তারকাই প্রত্যাশা মতো জ্বলে উঠতে পারলেন না।
বিশ্বকাপের প্রথম দু-দিন যে আলো দেখা গিয়েছিল, পরের দুদিনে তা যে নিষ্প্রভ। গোলের দেখা নেই। অথচ প্রথম দুদিন গোলের বর্ষণ দেখেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। প্রথম দিনে রাশিয়ার পাঁচ গোল, আর দ্বিতীয় দিলেন রোনাল্ডোর হ্যাটট্রিক-সহ স্পেন-পর্তুগাল ম্যাতের ছ-গোল। চোখ জুড়িয়ে গিয়েছিল ফুবলপ্রেমীদের।
সেই প্রত্যাশা নিয়েই মেসি ও নেইমারের ম্যাচ দেখতে বসেছিলেন আপামর ফুবল অনুরাগীরা। কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ। ব্যর্থ তাঁদের আশা-ভরসাও। মেসি তো আবার পেনাল্টি মিস করে খলনায়ক বনে গিয়েছেন প্রথম ম্যাচেই। নেইমার তাঁর মতো পেনাল্টি মিস না করলেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ। দলের প্রয়োজনে তিনি রোনাল্ডোর মতো এগিয়ে আসতে পারলেন না। পারলেন না ব্রাজিলকে জয়ের সরণিতে ফেরাতে।
অথচ এই ব্রাজিল যোগ্যতাঅর্জন পর্বে অসাধারণ ফুটবল নমুনা দেখিয়েছিল। গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু বিশ্বকাপের আসরে প্রথম ম্যাচে মন ভরাতে পারল না অনুরাগীদের। গতবার জার্মানির কাছে লজ্জার হার বিদায় নিতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। এবার তাই তারকাখচিত ব্রাজিল দলের কাছ থেকে হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক ফুটবল দেখার আশায় ছিলেন সবুজ-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু আবার ইউরোপিয়ান দেশের গতি আর রক্ষণাত্মক ফুটবলের কাছে লাতিন আমেরিকার ফুটবল শৈলী চাপা পড়ে গেল।