ফেডেরার-সাম্রাজ্যে থাবা মারলেন উদীয়মান গ্রিক-বীর! থামল মেলবোর্ন পার্কে ১৭ ম্যাচের অপরাজেয় দৌড়
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ২০১৯-এর চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে স্টেফানোস সিৎজিপাসের বিপক্ষে পরাজিত হলেন রজার ফেদেরার।
তিনি আলেকজান্ডার নন, তিনি স্টেফানোস সিৎজিপাস। গ্রীস থেকে ভারত অবধি বিশাল সাম্রাজ্য গড়েও আলেকজান্ডার যে সুখ পাননি, রবিবার তারই স্বাদ পেলেন টেনিস জগতের এই উদীয়মান গ্রিক বীর। ফেডেরার- সাম্রাজ্যে থাবা বসিয়ে তরুণ জানিয়ে দিলেন তিনিই এই মুহূর্তে পৃথিবীর সুখিতম মানুষ।
খুব বেশিদিন টেনিস সার্কিটে পা পড়েনি তাঁর। এদিন মেলবোর্ন পার্কে সম্ভবত এই পর্যন্ত তাঁর সেরা পারফরম্যান্স করলেন এই ২০ বছরের গ্রিক তরুণ। ৬-৭ (১১-১৩), ৭-৬ (৭-৩), ৭-৫, ৭-৬ (৭-৫) ফলে তিনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রজার ফেডেরারকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ২০১৯-এর চতুর্থ রাউন্ডেই ছিটকে দিলেন।
৪ সেটের এই ম্য়াচের তিনটি সেটই টাইব্রেকে যাওয়াতেই বোঝা যাচ্ছে জেতার জন্য কতটা লড়তে হয়েছে তাঁকে। ১২টি ব্রেক পয়েন্ট বাঁচিয়েছেন সিৎজিপাস, মেরেছেন ৬০টি উইনার। যার ফলে মেলবোর্ন পার্কে ফেডেরারের টানা ১৭ ম্যাচের অপরাজেয় দৌড় অবশেষে থামল। এখনও অধরা রইল ১০০টি সিঙ্লস খেতাব জের বিরলতম রেকর্ডও।
এই মাপের এক কিংবদন্তিকে হারানোর পর স্বভাবতই সিৎজিপাস আবেগপ্রবণ হে পড়েন। তিনি জানান, ফেডেরারের প্রতি তাঁ অপরিসীম শ্রদ্ধা রয়েছে। মাত্র ৬ বছর বয়স থেকেই তিনি ফেডেরারের খেলা বিশ্লেষণ করা শুরু করেছিলেন। রড লেভার এরিনায় তাঁ মুখোমুখি হওয়াটাই ছিল তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো। সেই ম্যাচে জয় পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করার মতো যথেষ্ট ভাষা খুঁজে পাননি তিনি।
এদিন শুরুতে কিন্তু বেশ নড়বড় করছিলেন তিনি। প্রথম গেমেই সার্ভ করতে বেশি সময় নেওয়ায় টাইম ভায়োলেশন-এর দায়ে তাঁর পয়েন্ট কাটা যায়। এর থেকেই স্পষ্ট স্নায়ুর চাপ ঠিক কতটা ছিল। কিন্তু, ম্যাচে কিছুটা সময় কাটানোর পর, প্রথম সেট শেষ হওয়ার আগেই দ্রুত ম্যাচে ফিরেও আসেন তিনি। এই লডা়কু মানসিকতাই তাঁর সেরা অস্ত্র বলে জানিয়েছেন সিৎজিপাস।
রবিবার ফেডেরারে বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি মোটস ১২টি ব্রেক পয়েন্ট রোধ করেছেন। দ্বিতীয় সেটে ছয়বার ফেডেরারে সেট পয়েন্ট রুখে দিয়ে সেই সেট নিজের কব্জায় এনেছেন। তিনি জানান, আগে পরের কথা না ভেবে আগ্রাসী মানসিকতা ও ধৈর্য ধরে রাখতে পেরেছেন বলেই তিনি সফল হতে পেরেছেন।
কোয়ার্টারফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ রবার্তো বাউতিস্তা আগুত, যিনি প্রথম রাউন্ডেই অ্যান্ডি মারেকে ছিটকে দিয়েছিলেন। কাজেই ফেডেরার বা মারে বধের কোনও এক নায়ক এই বারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম ৪ জনের মধ্যে থাকবেনই।