ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোরীর আর্জিতে কী করলেন ফেডেরার, দেখে নিন
চলতি উইম্বলডনে নিজের প্রথম ম্যাচেই সার্বিয়ার প্রতিপক্ষকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দিয়েছেন রজার। দুরন্ত পারফরম্যান্সের দিনই রজার মন কেড়ে নিলেন অন্য আর একটি কারণে। প্রমাণ করে দিলেন কত বড় মনের মানুষ তিনি।
নবমবার উইম্বলডন জেতার লক্ষ্যে স্ব-মহিমায় রজার ফেডারার। সোমবার সার্বিয়ার দুসান লাজোভিচকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে উইম্বলডনে নিজের অভিযান শুরু করেছেন এই সুইস কিংবদন্তি। রজারের পক্ষে খেলার ফল ছিল ৬-১, ৬-৩, ৬-৪।
নিজের দাপুটে পারফরম্যান্সের দিনই রজার মন কেড়ে নিলেন অন্য আর একটি কারণে। শুধু বড় ক্রীড়াবিদ নয়, তিনি যে বড় মনের মানুষ তা প্রমাণ করে দিলেন ফেডেরার।
এদিন এক ঘন্টা উনিশ মিনিটের ম্যাচে একটি প্ল্যাকার্ড হাতে ফেডারারে চেয়ারের পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোরী মিশিকা যোশী। যেই প্ল্যাকার্ডে ইংরাজীতে লেখা ছিল, 'রজার আমি তোমার হেডব্যান্ডটা পেতে পারি প্লিজ!!'
ম্যাচ শেষে যখন ফেডেরার কোর্ট থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছেন সেই সময়, সমর্থকদের অটোগ্রাফের আবদারে দাঁড়িয়ে যান ২০টি গ্র্যান্ডস্ল্যামের মালিক। ভক্তদের দাবি মেটানোর সময়ই তাঁর চোখ পড়ে মিশিকার ধরে থাকা প্ল্যাকার্ডটির দিকে। সঙ্গে সঙ্গে নিজের ব্যাগ থেকে হেডব্যান্ডটি বেড় করে মিশিকাকে দেন রজার।
পরে মিশিকার বাবা বলেন, 'আমার মনে হয় না আজ রাতে ও ঘুমোতে পারবে। ও ফেডেরারে পাগল সমর্থক। রজার ফেডেরারকে ধন্যবাদ জানাই এই রকম একটা মুহূর্তে আমার মেয়েকে উপহার দেওয়ার জন্য।'
গত বছর বয়স্কতম টেনিস প্লেয়ার হিসেবে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। ফের একবার যদি তিনি উইম্বলডন খেলাব জিততে পারেন তাহলে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙবেন।
এই মুহূর্তে এটিপি ক্রমপর্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রজার। উইম্বলডন জিততে পারলে ফের প্রথম স্থান ফিরে পাবেন রজার ফেডেরার।