করোনা লকডাউনে বিচ্ছেদ সানিয়া-শোয়েবের,ছেলে আর কোনও দিনও বাবাকে দেখতে পাবে কিনা জানিনা!বললেন সানিয়া
ইজহান আর কোনও দিনও শোয়েবকে দেখতে পাবে কিনা জানিনা! কেন এমন বললেন সানিয়া মির্জা
করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে বন্ধ যোগাযোগ। ইউরোপের কয়েকটি শহরে লকডাউন শিথিল হলেও বিশ্বে এখনও একাধিক দেশে করোনা ভয়াবহতার কারণে লকডাউন জারি রাখা হয়েছে। ভারত-পাকিস্তানে করোনা ভাইরাস এখন ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। যেকারণে দুই দেশেই এখন আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বন্ধ। ভারতে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা বন্ধ, গণপরিবহনেও হ্রাস টানা রয়েছে। ১৭ মে পর্যন্ত তৃতীয় দফার লকডাউনে এই নিয়ম জারি। আর এই সংকটের সময়েই দুই দেশে আটকে রয়েছেন সানিয়া মিজা-শোয়েব মালিক।
১০ বছর পার
চলতি বছরের এপ্রিলে টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের বিবাহের ১০ বছর পার হয়েছে। ২০১০ সালে ১২ এপ্রিল হায়দরাবাদে বিয়ে করেছিলেন শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জা। তাঁদের এক বছরের এক পুত্রসন্তান ইজান রয়েছে।২০১৮-র অক্টোবরে ইজানের জন্ম দেন সানিয়া।
বাবাকে ফের দেখবে পাবে কিনা, জানে না ইজহান
এক বছরের ছেলে ইজহান ফের বাবা শোয়েবকে দেখতে পাবে কিনা, জানে না। করোনা আবহে এমনই মন্তব্য করেছেন সানিয়া মির্জা।
করোনা ধাক্কায় উদ্বেগে সানিয়া
ছেলের হওয়ার কারণে টেনিস থেকে দীর্ঘ বিরতি নিয়েছিলেন সানিয়া। এরপর ছেলে ইজহান একটু বড় হতেই টেনিসে ফিরেছেন সানিয়া। ছেলেকে নিয়েই এখন সফরেও যান তিনি। তবে সব পরিকল্পনা ধাক্কা দিল করোনা। এমনটাই বলছেন ভারতীয় টেনিস তারকা।
|
ইজহান শোয়েবকে কবে দেখতে পাবে, কেন বললেন সানিয়া
করোনা উদ্বেগের কারণে বিদেশে সফর করতে গিয়ে তিনি ভারতে ফিরে আসেন। ছেলে ইজহান তাঁর সঙ্গে এখন ভারতের হায়দরাবাদে রয়েছে। অন্যদিকে করোনার কারণে যোগাযোগ বন্ধে স্বামী শোয়েব মালিক পাকিস্তানের শিয়ালকোটে গৃহবন্দি হয়ে আটকে রয়েছেন। ফলে ইজহান ফের কবে তাঁর বাবাকে দেখতে পাবে সেই নিয়ে উদ্বেগ করেছেন সানিয়া মির্জা।
সানিয়ার কোর্টে ফেরা
ইজহানের জন্ম দেওয়ার পর এ বছরের জানুয়ারিতে কোর্টে ফেরেন তারকা। হোভার্ট ইন্টারন্যাশনালে নেমেই ডাবলস খেতাব পান সানিয়া।
করোনা যুদ্ধে সানিয়া মির্জা
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন টেনিস তারকা। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য খাবার ও প্রাথমিক প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থা করে দিতে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে সানিয়া ১.২৫ কোটি টাকার ফান্ড সংগ্রহ করে সাহায্য করেন।