করোনায় মৃত্যুপুরী আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র ওপেন কি হওয়া উচিত?কিংবদন্তি বরিস কী বলছেন
করোনায় মৃত্যুপুরী আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র ওপেন কি হওয়া উচিত?কিংবদন্তি বরিস কী বলছেন
প্রাণঘাতী করোনা হানায় মৃত্যুপুরী আমেরিকা। এই অবস্থায় এবছর তাই এ বারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেন বাতিল করা হোক চাইছেন টেনিস কিংবদন্তি বরিস বেকার।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেন কবে শুরু হওয়ার কথা
২০২০ সালে টেনিস দুনিয়া মেগা টুর্নামেন্ট যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ২৪ অগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রাক্তন জার্মান তারকা বরিস বেকার কিন্তু করোনা উদ্বেগের এই পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট বাতিল চাইছেন। প্রসঙ্গত করোনা আমেরিকায় ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগে অবশ্য তিনি নির্ধারিত সময়ে টুর্নামেন্ট করার পক্ষেই মত দিয়েছিলেন।
কেন আগে নির্ধারিত সূচিতেই টুর্নামেন্ট চেয়েছিলেন বরিস
কিংবদন্তি বেকার আগে জানিয়েছিলেন, টেনিসের এই বড় প্রতিযোগিতাগুলি ক্রমতালিকায় নিচের দিকে থাকা খেলোয়াড়দের রুটিরুজির উপায়।তাই যে কোনও পরিস্থিতি বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম অনুষ্ঠিত হোক চেয়েছিলেন বেকার। কিন্তু বিশ্বজুড়ে অতিমারির করোনায় এখন ভয়ঙ্কর অবস্থা। বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে শিহরিত হচ্ছেন সবাই। এই পরিস্থিতি দেখে এবার ইউ এস ওপেন এবছর করার কোনও ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয় মনে করছেন বেকার।
করোনায় কোন গ্র্যান্ডস্ল্যাম বাতিল হয়েছে
করোনার প্রকোপে উইম্বলডন বাতিল হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে ক্রিকেট-ফুটবলের মেগা আসরগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে উইম্বলডন বাতিল করা হয়।বিশ্ব টেনিসের সেরা এই আকর্ষণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম বন্ধ হল।
আরও এক টেনিস টুর্নামেন্ট বাতিল নিয়ে আশঙ্কা
এবার ইউএস ওপেন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে এই গ্র্যান্ডস্লামটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইউনাইটেড স্টেট টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী মাইক ডাউস এমনটাই জানিয়েছেন।
বেকার যা বলেছেন
কিংবদন্তি বেকার ইউএস ওপেন নিয়ে বলেন, 'উইম্বলডন বাতিল হয়েছে। এবার ইউএস ওপেন বাতিল হোক। কিন্তু অতিমারির জন্য শেষ কয়েক সপ্তাহে আমেরিকার অবস্থা খুবই খারাপ। টেনিসে এখন ঘোর সঙ্কট চলছে। করোনা পরিস্থিতিতে এই টুর্নামেন্টও বাতিল ঘোষণা করা উচিত।'
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা প্রভাব
প্রাণঘাতী করোনায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ১১ লক্ষ ৩১ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বে মৃত্যের সংখ্যায় শীর্ষে আমেরিকা। সেদেশে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন।