কলকাতা ডার্বিতে ফের খালিদ, প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে কি বদলার ম্যাচ - কী জানালেন সবুজ মেরুন কোচ
আই-লিগ ২০১৮-১৯-এর দ্বিতীয় কলকাতা ডার্বির আগে খালিদ জামিল বলেছেন, এই ম্যাচকে তিনি প্রাক্তন নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে 'প্রতিশোধ'-এর ম্যাচ হিসেবে দেখছেন না।
মোহনবাগানের নয়া নিযুক্ত কোচ খালিদ জামিলের শেষ কলকাতা ডার্বির স্মৃতিটা মোচটেই সুখকর নয়। মাত্র একবছর আগেই তিনি ছিলেন লাল-হলুদ শিবিরে। শক্তিশালী দল নিয়ে খেলেও দিপান্ডা ডিকার জোড়া গোলে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ০-২ গোলে হেরেছিল খালিদের ইস্টবেঙ্গল। এইবার খালিদ থাকবেন উল্টো দিকের বেঞ্চে।
গত মরসুমে আই লিগ ও সুপার লিগে ব্যর্থতার পর খালিদ জামিলকে কোচের পদ থেকে ছেঁটে ফেলেছিল লাল-হলুদ। তারপর থেকে বেশ কয়েকমাস ফুটবল মাঠের বাইরেই কাটান তিনি। শেষে এই মরসুমে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর পদত্যাগের পর দলের দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন সবুজ মেরুন কর্তারা। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে আসন্ন ডার্বিতে কি পুরনো দলের কর্তাদের বিরুদ্ধে বদলা নিতে চান বাগান কোচ?
কলকাতা ডার্বির আগে অবশ্য খালিদ বলছেন তিনি অবশ্যই জিততে চান কিন্তু বদলার বিষয় নেই তাঁর মাথায়। ম্য়াচ পূর্ববর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, এই ম্যাচে তাঁর কোনও ব্য়াক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নেই। তাঁর বাবনায় শুধুই রয়েছে মোহনবাগান। ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মেনেও তিনি জানিয়েছেন, এই ম্যাচে জিততে না পারলেও মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না, আরও অনেক ম্য়াচ খেলা বাকি।
সবুজ-মেরুনের দায়িত্ব নেওয়ার পর মিনার্ভা এফসি ও নেরোকা এফসির বিরুদ্ধে প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছেন খালিদ জামিল। এরপর ডার্বির আগে ১৩ দিন কেলা ছিল না মোহনবাগানের। এই বিষয়টা তাদের পক্ষেই যাবে বলে মনে করছেন খালিদ। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন সোনিই হলেন তাঁর ট্রাম্প কার্ড। সেই সঙ্গে তাঁর ভরসা দিপান্ডা ডিকা, হেনরি কিসেকা ও ওমর এল হুসেইনি।
ইস্টবেঙ্গল যে খুবই শক্তিশালী তাও মেনে নিয়েছেন মেরিনার্সদের কোচ। তাঁর মতে লাল হলুদের প্রতিটি পজিশনেই ভাল ফুটবলার রয়েছে। আলাদা করে তিনি উল্লেখ করেছেন বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টার নেতৃত্বে মশাল-বাহিনীর রক্ষণের কথা। ভাল মানের বিদেশীদের পাশে লাল-হলুদের ভারতীয় ফুটবলাররাও বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবল খেলছেন বলে জানিয়েছেন খালিদ জামিল।
১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্টে থাকা মোহনবাগানের পক্ষে এইবারের আইলিগ জেতা আর সম্ভব না হলেও, জিতলে লিগে একটা ভাল জায়গায় পৌঁছবে তারা। অপরদিকে ১ ম্যাচ কম খেলে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের এখনও রয়েছে ট্রফি জয়ের দৌড়ে। সেখানে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয় পাওয়া ছাড়া লাল-হলুদের উপায়ান্তর নেই। কাজেই সব দিক থেকেই একটি দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ বড় ম্য়াচ দেখার আশায় রয়েছে যুবভারতী।