আই লিগ ২০১৮-১৯: ডার্বিতে খারাপ রেফারিং - কড়া পদক্ষেপ সবুজ-মেরুন কর্তাদের, বিপদে ভেঙ্কটেশ
কলকাতা ডার্বিতে খারাপ রেফারিং নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানালেন মোহনবাগান কর্মকর্তারা।
রবিবার মিটে গিয়েছে আই লিগ ২০১৮-১৯ মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি। ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৩-২ গোলে হারতে হয়েছে মোহনবাগানকে। বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে পরের ম্য়াচ খেলতে নামছে সবুজ-মেরুন। কিন্তু ডার্বির হারের রেশ রয়ে গিয়েছে এখনও। এবার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে কলকাতা ডার্বিতে খারাপ রেফারিং নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানালেন মোহনবাগান কর্মকর্তারা।
ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল জিতলেও রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে সবুজ-মেরুন জনতার মনে। ম্য়াচের পর মোহনবাগান কোচও সরাসরি না বললে ঘুরিয়ে রেফারিকে দোষ দিয়েছিলেন। কিন্তু ম্য়াচের পর রেফারির ফিডব্য়াক রিপোর্টের অংশ হিসেবে বাগানের টিম ম্য়ানেজার স্বপন বল এইআইএফএফ-কে লেখা চিঠিতে রবিরারের ম্য়াচে খারাপ রেফারিং নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
এখানেই শেষ নয়। এরপর আবার আরেক মোহন কর্মকর্তা দেবাশীষ দত্ত আইনিগের সিইও সুনন্দ ধরকে আলাদা করে চিঠি লিখে ম্যানেজারের পাঠানো চিঠির অভিযোগের ভিত্তিতে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
মোহনবাগানের অভিযোগ মূলত রেফারির দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে। ১৩ মিনিটের মাতাতেই আজহারউদ্দিনে গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সেই গোল শোধ দেন লাল-হলুদের লালদান মাওয়িয়া রালতে। ম্য়াচের সময়ই মোহনবাগান গ্যালারি থেকে দাবি উঠেছিল, গোলের সময় মিজো ফুটবলারটি অফসাইড ছিলেন। কিন্তু লাইন্সম্য়ান পতাকা তোলেননি।
দ্বিতীয়ত, ম্য়াচের ১২ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছিল বাগান রক্ষণের খেলোয়াড় এজে কিংসলে -কে। এরপর আবার ৬০ মিনিটে আরও একটি গুরুতর ফাউল করার অপরাধে তাঁকে লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য হন রেফারি। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মোহনবাগানের কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীও। তিনি নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নবাগত বিদেশী হাইমে কোলাদো 'প্লেঅ্যাক্টিং' করেছিলেন।
পুরো বিষয়টি দেখছেন রেফারি কমিটির প্রধান রবিশংকর। জানা গিয়েছে রবিবারের ম্যাচের ভিডিও দেখবেন রেফারি পোস্টিং কমিটির সদস্যরা। যদি মোহনবাগানের অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে তাহলে সাময়িকভাবে 'ফ্রিজ' করা হবে বড় ম্য়াচের রেফারি ভেঙ্কটেশকে। আই লিগের এই মরসুমে কিন্তু এখনও পর্যন্ত দু'জন রেফারিকে 'ফ্রিজ' করা হয়েছে।