বোল্টের দেশে পাড়ি ভারতীয় তরুণের, জানুন লড়াকু উত্থানের কাহিনি
রপকথাও সত্যি হয়। ফের এরকম হল। এ যেন এক স্বপপূরণের গল্প।
রপকথাও সত্যি হয়। ফের এরকম হল। এ যেন এক স্বপপূরণের গল্প। তাঁর বাবা রিক্সা চালক ও মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। কিন্তু সন্তানের পায়ে বেড়ি আটকে রাখতে পারেনি সমাজ। নিজের প্রতিভার গুণে এবার নতুন দৌড়ে আহমেদ।
এবার উসেন বোল্টের অ্যাকাডেমিতে পাড়ি জমাচ্ছেন কিশোর আহমেদ। দিল্লির আজাদপুর এলাকায় বেড়ে ওঠা আহমেদের। বাদাবাগের বস্তিতে ঘিঞ্জি এলাকায় নিজের শৈশব কাটিয়েছেন তিনি। জামাইকায় কিংস্টনের অ্যাকাডেমিতে এবার পা রাখবেন কিশোর। যে ট্র্যাকে উসেন বোল্ট ট্রেনিং করে বড় হয়েছেন সেই ট্র্যাকেই স্বপ্নপূরণের উড়ান ভরবেন দিল্লির ছেলে।
গ্যাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের উদ্যোগে এক প্রতিভা অন্বেষণ প্রোগ্রাম করা হয়েছিল। যাতে ১৫ থেকে ১৮ বছরের ছেলেদের কেরালা, তামিলনাড়ু, উত্তরাখন্ড, ওড়িশা, দিল্লি থেকে খুঁজে আনা হয়। সেখান থেকে চূড়ান্ত বাছাই হয়ে দ্য কিংস্টন ক্লাব সুযোগ দিচ্ছেন এই আনকোড়া প্রতিভাদের। চার সপ্তাহের জন্য সেখানে ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাবেন তাঁরা।
বিজয়ওয়াড়ায় অনুর্ধ্ব ১৬ টুর্নামেন্টে জুনিয়র জাতীয় টুর্নামেন্টে রেকর্ড সময় করেছেন আহমেদ। শুধু তাই নয় সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত তাঁর সময় দারুণ উন্নতি করেছে। ১০০ মিটারে এখন ১১ থেকে এগিয়ে তাঁর সময় হয়েছে ১০.৮৫, অন্যদিকে ২০০ মিটারে ২২.০৮ থেকে সময় কমে হয়েছে ২১.৭৩ সেকেন্ড।
আহমেদ নিজেও খুবই উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেছেন -'যখন আমি বিজয়ওয়াডায় পৌঁছই তখন আমি নার্ভাস ছিলাম, কারণ ভারতের সেরা দৌড়বিদরা ছিল সেই টুর্নামেন্টে। তাই যখন দেখি সেরা দৌড়বিদদের লড়াইয়ের দু নম্বর জন আমার থেকে প্রায় ২০০ মিটার পিছনে রয়েছে। '
চার বছর ধরে আহমেদের কোচ সুনীতা রাই। সুনীতার মতে প্রথম ৩০ মিটারে আহমেদের ধারেকাছে এই মুহূর্তে এই দেশে কোনও অ্যাথলিট নেই। জামাইকায় এই সুযোগ তাঁকে আরও বড় হয়ে ওঠার সুযোগ দেবে।