পণের জন্য স্বামীর হাতে নৃশংসভাবে প্রহৃত দেশের প্রাক্তন হকি অধিনায়ক
পণের জন্য স্বামীর হাতে নৃশংসভাবে প্রহৃত দেশের প্রাক্তন হকি অধিনায়ক
ভারতের মহিলা হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা অর্জুন পুরস্কার জয়ী সুরজ লাটা দেবী, পণের অনাদায়ে স্বামীর হাতে নৃশংসভাবে প্রহৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ। আক্রান্তের দাবি, স্বামী শান্তা কুমার তাঁকে বেঁধে তিন ঘণ্টা ধরে মারধর করেন।
ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের প্রাক্তন কর্মচারি স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে সুরজ লাটা দেবী। অর্জুন পুরস্কার জয়ী ভারতীয় ক্রীড়াবিদের বক্তব্য, ২০০৫ সালে শান্তা কুমারকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে স্বামী তার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতেন বলেও অভিযোগ সুরজ লাটা দেবীর। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শ্বশুরবাড়ির এক টুকরো জমি পাওয়ার জন্য উঠে-পড়ে লাগে শান্তা। সেই জমি তাঁর নামে লিখিয়ে দেওয়ার জন্য স্বামী শান্তা, সুরজ লাটা দেবীর ওপর চাপ বাড়ান বলেও অভিযোগ। সেই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় তাঁকে বেধড়ক মারধরের শিকার হতে হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন দেশের মহিলা হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।
স্বামী শান্তার মতো ওয়েস্টার্ন রেলওয়েতে কাজ করতেন সুরজ লাটা দেবীও। কিন্তু তাঁকে সেই চাকরি ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন অর্জুন পুরস্কার জয়ী ভারতের প্রাক্তন হকি তারকা। সুরজ লাটা জানিয়েছেন, বিয়ের রাতে ক্রীড়াক্ষেত্রে অর্জিত নিজের সব মেডেল, পুরস্কার নিয়ে তিনি শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। স্বাগত জানানোর পরিবর্তে তাঁকে ওই পুরস্কারের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সুরজ জানিয়েছেন, তিনি এতদিন বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেননি এই ভেবে যে তাঁর স্বামীর স্বভাবে হয়তো পরিবর্তন আসবে। পরিবর্তে উল্টোটাই হয়েছে বলে অভিযোগ প্রাক্তন হকি তারকার।
উল্লেখ্য সুরজ লাটা দেবীর নেতৃত্বে ২০০২ কমনওয়েলথ গেমস, ২০০৩-র আফ্রো-এশিয়ান গেমস ও ২০০৪-র হকি এশিয়া কাপে সোনা জেতে ভারতের মহিলা হকি দল। বলা হয়, সেই ভারতীয় দলকে দেখেই শাহরুখ খান অভিনিত চক দে ইন্ডিয়ার মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়েছিল।