৬ আঙুলের পা-জোড়ার জন্য তৈরি হচ্ছে জুতো, কারা মেটাচ্ছে সোনার মেয়ের আবদার
এশিয়াডের স্বর্ণপদক বিজয়ী স্বপ্না বর্মন শীঘ্রই এডিডাস সংস্থা থেকে তার ১২-আঙুল বিশিষ্ট দুই পায়ের জন্য তৈরি কাস্টমাইজ্ড জুতো পাবেন। সাই এই ব্যাপারে জুতো সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি করেছে।
একসময় দুই পায়ে ৬টি করে আঙুল থাকায় হীনমন্যতায় ভুগতেন এশিয়াডে সোনা জয়ী হেপ্টাথলিট স্বপ্না বর্মণ। তাঁকে সেখান থেকে বের করে এনেছিলেন কোচ সুভাষ সরকার। কিন্তু বরাবরই পায়ের আঙুল বেশি থাকায় জুতোর সমস্যায় ভোগেন তিনি। সোনা জয়ের পর তিনি প্রথমেই জানিয়েছিলেন তাঁর একজোড়া জুৎসই জুতো চাই।
তাঁর সেই আবদার পূর্ণ হতে চলেছে। তাঁর জন্য বিশেষ জুতো বানিয়ে দেওয়ার জন্য অ্যাডিডাস সংস্থার সঙ্গে কথা পাকা করেছে স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া।
সাইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল নীলম কাপুর জানিয়েছেন, 'স্বপ্নার বিষয়টি জানতে পেরে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী জাকার্তা থেকেই আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁর জন্য কাস্টমাইজ্ড জুতোর ব্যবস্থা করার জন্য। আমরা বিষয়টি অ্যাডিডাস সংস্থাকে জানাই। তারা বিশেষ জুতো বানিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে।'
সাইয়ের তরফ থেকে ইতিমধ্যে স্বপ্না ও তাঁর কোচ সুভাষ সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিধাননগরে সাইয়ের সেন্টার ফর এক্সেলেন্স, যেখানে স্বপ্না অনুশীলন করেন, সেখানে স্বপ্নার জুতোর মাপ, প্রেসার পয়েন্ট, কাস্টমাইজ্ড স্পাইকের জন্য ড্রয়িং - ইত্যাদি চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
স্বপ্না বর্মনও জানিয়েছেন বৃহস্পতিবারই সাইয়ের তরফ থেকে তাঁকে বিষয়টি জানিয়ে একটি ইমেইল পাঠানো হয়েছে। কলকাতায় তাঁর কোচ সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, চোটের জন্য স্বপ্না আপাতত অনুশীলন করছেন না। তাই তাঁর সঙ্গে সুভাষবাবুর দেখাও হচ্ছে না। দেখা হলেই প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি সংগ্রহ করে সাইয়ের দিল্লির দপ্তরে তিনি পাঠিয়ে দেবেন।
তবে এশিয়াডের আগেই এই বিশেষ জুতোর চাহিদার কথা তিনি সাইয়ের কর্তাদের কানে তুলেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বপ্না বর্মণের কোচ। তিনি জানান, 'আমি এশিয়াডের আগেই সাইয়ের এক কর্তাকে এই জুতো সমস্যার কথা বলেছিলাম। তবে আমি সেভাবে বিষয়টিকে তখন গুরুত্ব দিইনি। এশিয়াডের আগে নতুন জুতোর সঙ্গে ওকে মানিয়ে নিতে হত। সেটা আমি চাইনি।'