ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া প্রথম টি২০: একদিন আগেই দল জানিয়ে দিলেন কোহলি! উইকেটের পিছনে কে - ধাঁধা
বিসিসিআই ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া প্রথম টি২০আই ম্যাচের জন্য ১২ সদস্যের দল ঘোষণা করল।
বুধবারই অস্ট্রেলিয়ার গাব্বায় ৩ ম্যাচের টি২০আই সিরিজের প্রথম ম্য়াচে একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। গত সফরে টি২০ সিরিজে ভারত ৩-০ ফলে জিতলেও, এই প্রথম স্মিথ-ওয়ার্নার বিহীন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত ফেবারিট হিসেবে নামছে। এতটাই আত্মবিশঅবাসী তাঁরা যে ম্যাচের আগের দিনই অধিনায়ক বিরাট কোহলি সুনিশ্চিতভাবে জানিয়ে দিলেন বুধবারের ম্যাচের ভারতীয় দলের ১২ সদস্যের নাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘের মাঠে বিশ্রামে ছিলেন কোহলি। ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। এই সিরিজে তিনি দায়িত্বভার তুলে দিয়েছেন নিয়মিত অধিনায়ক বিরাটের হাতে। আর তাঁকে দলে জায়গা করে দিতে বাদ দিতে হয়েছে মনিষ পাণ্ডেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি২০-তে ১২ সদস্যের দলে নাম নেই তাঁর।
৩ মে, ১৯৯৯
পাকিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সেনাদের একটি বড় অংশ কার্গিলে ভারতের অংশে ঢুকে এলাকার দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে সেনাবাহিনীর কাছে খবর পৌঁছয়।
'অটোমেটিক চয়েস'
সুস্থ থাকলে ভারের এই ১২ সদস্যের দলে এমন কিছু নাম রয়েছে, যাঁরা এই মুহূর্তে ভারতের যেকোনও টি২০ ম্যাচে প্রথম একাদশে 'অটোমেটিক চয়েস'। ভারতের ব্যাটিং লআইনআপের প্রথম তিনজন - রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি এবং পেসার জুটি ভুবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রিত বুমরা।
৫ মে, ১৯৯৯
ভারতীয় স্থলসেনার একটি দল সেখানে পৌঁছলে পাঁচ সেনা জওয়ানকে আটকে রেখে মেরে ফেলা হয়।
উইকেটরক্ষক ধাঁধা
ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরকারী টি২০ স্কোয়াডে উইকেটরক্ষক হিসাবে নথিভুক্ত রয়েছে দীনেশ কার্তিক ও ঋষভ পন্থের নাম। দুজনেই প্রথম ম্যাচের ১২ জনের দলেও আছেন। এই তালিকায় উইকেটরক্ষক হিসাবে নাম রয়েছে পন্থের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠের সিরিজেও তাই ছিল। কিন্তু ম্যাচে কিপিং করেছিলেন কার্তিক। তবে সেখানে অধিনায়ক ছিলেন রোহিত। বিরাট কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপে পন্থকে নিয়ে যেতে আগ্রহী। কার্তিক ওয়ানডে দলে নেই। তাই অস্ট্রেলিয়ায় পন্থেরই উইকেটের পিছনে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
৯ মে, ১৯৯৯
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর কার্গিলের ঘাঁটি নষ্ট করে দেয়।
বাদ পড়লেন সুন্দর
ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে চেন্নাইতে শেষ টি২০ ম্যাচে ভারতীয় দলে ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু বুধবারের ম্যাচের প্রথম ১২ জের দলে তিনি নেই। দলে একমাত্র অলরাউন্ডার হিসাবে রয়েছেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। কাজেই তাঁরও প্রথম একাদশে সুযোগ পাকা। তাঁর সামনে কিন্তু এই সিরিজ ওয়ানডে দলের দরজায় কড়া নাড়ার বাল সুযোগ।
১০ মে, ১৯৯৯
পাকিস্তানিদের অনুপ্রবেশ সবচেয়ে প্রথমে লক্ষিত হয় কার্গিলের দ্রাস, কাকসর, মুশকোহ সেক্টরে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি বড় দল কাশ্মীর থেকে কার্গিলে পৌঁছয়।
বাদ পড়বেন কোনজন
ভারতের ১২ সদস্যের দলে কুলদীপ ও চাহাল দুই স্পিনারকেই রাখা হয়েছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয় পিচে দুই স্পিনার ভারত খেলাবে বলে মনে হয় না। বিশেষ করে যেখানে ক্রুণাল ব্যাটের পাশাপাশি চার ওভার করে বলও করতে পারেন। কাজেই এই দুই স্পিনারের একজনই সম্ভবত এই ১২ জনের দল থেকে বুধবার মাঠের বাইরে বসবেন।
২৬ মে, ১৯৯৯
অনুপ্রবেশকারী পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বোমারু হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা।
বাঁ-হাতি তরুণ তুর্কি
১২ জনের দলে তিন পেসার - বুমরা, ভুবনেশ্বর ও খলিল আহমেদের নাম রয়েছে। এই ৩ জনেরই প্রথম টি২০-তে সুযোগ পাওয়ার কথা। ভুবি-বুমরা তো 'অটোমেটিক চয়েস'-এই রয়েছেন, আর খলিলও এই মুহূর্তে টিম ম্যানেজমেন্টের হট ফেবারিট। ২০১৯ বিশ্বকাপের দলে যে বাঁহাতি পেসারের বৈচিত্র তাঁরা খুজছিলেন, তার সম্বাবনা দেখা গিয়েছে খলিলের মধ্যে। কাজেই এই মুহূর্তে তাঁকে যত বেশি সম্ভব আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা বাড়ানোই লক্ষ্য।
২৮ মে, ১৯৯৯
বায়ুসেনার এমআই-১৭ বিমানটিকে ধ্বংস করে পাকিস্তান। চারজন বায়ুসেনা অফিসার মারা যান।
১২ সদস্য়ের দল
রোহিত শর্মা (সহ-অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, ঋষভ পন্থ (উইকেটরক্ষক), দীনেশ কার্তিক, ক্রুণাল পাণ্ডিয়া, কুলদীপ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রিত বুমরা, খলিল আহমেদ, যুজবেন্দ্র চাহাল।
১ জুন, ১৯৯৯
কার্গিল এলাকায় ভারতের ১ নম্বর জাতীয় সড়কে বোমা বিস্ফোরণ করে পাকিস্তান।
৫ জুন, ১৯৯৯
পাকিস্তানি সেনা এতে জড়িত নয় বলে যে দাবি পাকিস্তান করে আসছিল, তা খারিজ করে দিতে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ পেশ করে ভারতীয় সেনা। তিনজন পাকিস্তানি সেনার নাম স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়।
৬ জুন, ১৯৯৯
কার্গিল বিজয়রে উদ্দেশ্যে এবার ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারতীয় সেনা।
৯ জুন, ১৯৯৯
বিজয়ের প্রথম সোপান হিসাবে কার্গিলের বালাটিক সেক্টরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দখল নেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী।
জুন ১১, ১৯৯৯
পাকিস্তানি সেনা এই ঘটনায় জড়িত তা ফের তথ্য দিয়ে প্রমাণ করে ভারত। পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মুশারফ ও পাক সেনার এক অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ খানের মধ্যে কথোপকথন পেশ করা হয় যাতে স্পষ্ট ছিল, কার্গিলে পাকিস্তানি সেনার জড়িত থাকার কথা।
১৩ জুন, ১৯৯৯
কার্গিলের দ্রাস এলাকার টোলোলিং সেক্টরও কব্জা করে নেয় ভারতীয় সেনা জওয়ানেরা।
১৫ জুন, ১৯৯৯
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে টেলিফোন করে কার্গিল থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেন তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিন্টন।
২৯ জুন, ১৯৯৯
ফের কার্গিল এলাকার টাইগার হিলের কাছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট 'পয়েন্ট ৫০৬০' ও 'পয়েন্ট ৫১০০' দখল করে ভারতের বীর জওয়ানেরা।
৪ জুলাই, ১৯৯৯
কার্গিল পুনর্দখলে আরও সেনা নিয়ে ঝাঁপায় ভারত। ১১ ঘণ্টার দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ৪ জুলাই ১৯৯৯ তারিখে টাইগার হিল এলাকা পুনর্দখল করে ভারত।
৫ জুলাই, ১৯৯৯
ভারতীয় সেনাবাহিনী কার্গিলের দ্রাস সেক্টরকে পুনরায় দখল করে নেয়। বিল ক্লিন্টনের সঙ্গে কথা বলার পর পাকিস্তানের পিছু হঠার কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
১১ জুলাই, ১৯৯৯
পাকিস্তানি সেনারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাপে পিছু হটতে থাকে। অন্যদিকে একেরপর এলাকা ফের নিজেদের দখলে করতে থাকে ভারতীয় সেনা।
১৪ জুলাই ১৪, ১৯৯৯
কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানকে পরাজিত করে ভারতের জয়ের কথা ঘোষণা করেন তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল, 'অপারেশন বিজয়'।
২৬ জুলাই, ১৯৯৯
কার্গিল এলাকা পাকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত তা সরকারিভাবে জানানো হয়। পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের পুরোপুরিভাবে হঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।