আইপিএলের এই চারটি রেকর্ড বোধহয় কোনওদিন ভাঙবে না
এই নিয়ে আইপিএলের ১১তম সংষ্করণ খেলা হয়েছে। প্রথম বছর তথা প্রথম ম্যাচ থেকে কিছু রেকর্ড তৈরি হয়েছে যা আজও অটুট রয়েছে।
প্রতিবছর আইপিএল আসে, যায়। ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিংয়ে প্রতিবার কিছু অসাধারণ রেকর্ড তৈরি হয়, আবার ভেঙেও যায়। তবে কিছু রেকর্ড এমন তৈরি হয় যা এখনও অক্ষত। হয়ত সারাজীবন অক্ষতই থেকে যাবে। এই নিয়ে আইপিএলের ১১তম সংষ্করণ খেলা হয়েছে। প্রথম বছর তথা প্রথম ম্যাচ থেকে কিছু রেকর্ড তৈরি হয়েছে যা আজও অটুট রয়েছে। একনজরে জেনে নেওয়া যাক এমনই কিছু রেকর্ড সম্পর্কে।
গেইলের ব্যাটিং
২০১১ সালে অধুনা কোচি টাস্কার্স দলের অখ্যাত বোলার প্রশান্ত পরমেশ্বরনকে রাতারাতি নেতিবাচকভাবে বিখ্যাত করে দিয়েছিলেন ক্রিস গেইল। প্রশান্তের এক ওভারে ওঠে ৩৭ রান। চারটে ছয় ও তিনটি চার মারেন গেইল। একটি নো বলও হয়। এত রান আর কোনওদিন আইপিএলে ওঠেনি।
আরসিবি-র রেকর্ড
২০১৩ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে আরসিবি ২৬৩ রান তোলে। পুনে বোলিংকে রীতিমতো লুঠ করেন ক্রিস গেইল। ইশ্বর পাণ্ডের এক ওভারে ২১ ও মিচেল মার্শের এক ওভারে ২৮ রান নেন। পুনে ১৩৩ রানে থামে। আরসিবি জেতে ১৩০ রানে।
গেইলের রেকর্ড
পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে আরসিবি যে ম্যাচে ২৬৩ রান তোলে, সেই ম্যাচেই আইপিএল তথা টি২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করে যান ক্রিস গেইল। করেন অপরাজিত ১৭৫ রান। এবং একইসঙ্গে মাত্র ৩০ বলে শতরান করে টি২০ রেকর্ড গড়েন যা আজও অক্ষত রয়েছে।
১৪০ রানে জয়
২০০৮ সাল। আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআর-এর হয়ে ওপেন করতে নামেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। বাকীটা ইতিহাস। ৭৩ বলে করেন অপরাজিত ১৫৮ রান। কলকাতা ২০ ওভারের শেষে তোলে ২২২ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আরসিবি শেষ মাত্র ৮২ রানে। ম্য়াচ হারতে হয় ১৪০ রানে। সেই রেকর্ড আজও দশ বছর পরে অক্ষত।