চার নম্বরে নেমে কামাল, ঘরের মাঠে মুম্বইকে জিতিয়ে দিয়ে নায়ক অধিনায়ক রোহিত
এদিন আরসিবির বিরুদ্ধে চার নম্বরে ব্যাট করে ৫২ বলে ৯৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিলেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
প্রথম দুটি ম্যাচে ওপেন করেছিলেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। একটিতে ১১ ও অন্যটিকে করেন ১৫ রান। তিন নম্বর ম্যাচে চার নম্বরে ব্যাট করে করেছিলেন ১৮ রান। শুরু হয়ে গিয়েছিল মৃদু সমালোচনা। আর এদিন আরসিবির বিরুদ্ধে চার নম্বরে ব্যাট করে ৫২ বলে ৯৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিলেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
চার নম্বরে নামলেও বলা যায় এদিন ইনিংস ওপেনই করেছেন রোহিত। ইনিংসের তিন নম্বর বলে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন রোহিত। কারণ প্রথম দুই বলে উমেশ যাদব পরপর বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন মুম্বইয়ের সূর্যকুমার যাদব ও ইশান কিষণকে।
সেখান থেকে মু্ম্বই ব্যাটিংকে রোহিত এগিয়ে নিয়ে যান এভিন লিউয়িসকে সঙ্গে করে। প্রথমে আক্রমণ করেন লিউয়িসই। করে যান ৪২ বলে ৬৫ রান। ইনিংসের শেষদিকে জ্বলে ওঠেন রোহিত। একসময়ে ১৪ ওভারে মুম্বইয়ের রান ছিল ১২৮। সেখান থেকে শেষ ছয় ওভারে ওঠে ৮৫ রান। ইনিংসের একেবারে শেষে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ১০ বলের পার্টনারশিপে ২৭ রান তোলেন রোহিত। ইনিংসের শেষ বলে হার্দিক চার মেরে দলকে ২১৩ রানে পৌঁছে দেন।
এই ম্যাচ মিলিয়ে চার ম্যাচে রোহিতের নাম গিয়ে দাঁড়াল ১৩৮-এ। এদিন মাত্র ছয় রানের জন্য শতরান পেলেন না রোহিত। তবে যেভাবে চার নম্বরে নেমে ব্যাট করলেন, তাতে মুম্বই আগামী ম্যাচের জন্য আত্মবিশ্বাস জুটিয়ে নিল। তিন ম্যাচ আটকে থাকার পরে দৌড়তে শুরু করল মুম্বইয়ের জয়ের রথ।
এদিন ওয়াংখেড়ের মাঠে টসে জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট পড়ার পরে মনে হচ্ছিল মুম্বই বুঝি একশো রানের কমে গুটিয়ে যাবে। সেই অবস্থায় গুটিয়ে না গিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে ম্যাচ বের করে নিল মুম্বই। এবং জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।