নীল বাঘেদের পরের প্রতিদ্বন্দ্বী আমিরশাহি! দেখে নিন দুই দলের শেষ ৫ দ্বৈরথের ইতিহাস
ফিরে দেখা যাক ফুটবল মাঠে ভারত বনাম সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর শেষ ৫ সাক্ষাত।।
এশিয়া কাপে প্রথম ম্য়াচেই থাইল্যান্ডকে ৪-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে কাপ অভিযান শুরু করেছে ভারত। এই ফল নিয়ে এশিয়াতে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। ভারতীয় দলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম বড় নাম পর্তুগিজ কোচ কার্লোস কুইরোজ-ও।
তবে সুনীল ছেত্রিরা জানেন কাজ সবে শুরু হয়েছে। এখনও অনেক পথ হাঁটা বাকি। আপাতত গ্রুপ এ-এর শীর্ষে থাকলেও ভারতের পরের ম্য়াচটিই আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে, যাদের গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন বাধা বলে চিহ্নিত করেছেন ভারতীয় ফুটলাররাই। তবে ভারতের এশিয়া কাপের শুরু কিন্তু মসৃণ হয়নি আমিরশাহির। বাহারিনের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে গোল করে ড্র করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) নীল বাঘেরা আমিরশাহির মুখোমুখি হওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক দুই দলের শেষ ৫ সাক্ষাতের ইতিহাস -
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন দ্বিতীয় লেগ - ২০১১
ভারত ও আরব আমিরশাহি পরস্পর শেষবার মুখোমখি হয়েছিল ২০১১ সালে ২৮শে জুলাই। নয়া দিল্লির আম্বেদকর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের দ্বিতীয় লেগের সেই ম্য়াচ ভারত ২-২ গোলে অমিমাংসিত রাখে। ভারতের হয়ে গোল করেছিলেন জেজে ও গৌরমাঙ্গি সিং।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন প্রথম লেগ - ২০১১
২৩ জুলাই প্রথম লেগে আল আইনের শেখ খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অবশ্য ভারত ৩-০ গোলে হেরেছিল। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলে জিতেছিল ইউএই।
ফিফা ফ্রেন্ডলি - ২০১০
১৮ নভেম্বর আবু ধাবির এমিরেটস স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও ইউএই। নিজেদের মাটে সেই ম্যাচে ভারতকে ৫-০ গোলে পর্যুদস্ত করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব - ১৯৮৮
১৯৮৮ সালের এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের পাঁচটি ম্যাচেই হেরে গ্রুপের একদম তলানিতে শেষ করেছিল ভারত। সবচেয়ে বড় হার হয়েছিল আমিরশাহির বিরুদ্ধে। ফলাফল ছিল ৩-০।
এশিয়ান কাপ - ১৯৮৪
১৯৮৪ সালের এশিয়ান কাপে এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে ভারতের সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছিল। আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধেও ২-০ গোলে হেরেছিলেন তরুণ বসুরা। তবে ৮১ মিনিট অবধি দুর্গ রক্ষা করেছিল ভারতীয় রক্ষণ। শেষ ৯ মিনিটে ২ গোল হয়।
শেষ পাঁচ সাক্ষাতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে ভারত একবারও হারাতে না পারলেও, গত ২-৩ বছরে যে ভারতীয় দলের অনেক উন্নতি হয়েছে তা থাইল্যান্ড ম্যাচেই বোঝা গিয়েছে। কাজেই, এই ইতিহাস কিন্তু ১০ তারিখ ৯০ মিনিটে কোনও প্রভাব ফেলবে না।