বাহরিন-কে হারালেই ইতিহাসে নীল বাঘেরা - দেখে নিন দুই দলের শেষ ৫ দ্বৈরথের ইতিহাস
ফিরে দেখা যাক ফুটবল মাঠে ভারত বনাম বাহরিনের শেষ ৫ সাক্ষাত।
এশিয়ান কাপে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) শারজার মাঠে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে বাহরিনের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত। থাইল্য়ান্ডকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দারুণভাবে এশিয়ান কাপ অভিযান শুরু করেছিলেন সুনীল-সন্দেশরা। পরের ম্যাচে আমিরশাহির বিরুদ্ধে দুর্ভাগ্যজনক হারেও দমে যায়নি নীল বাঘেরা। বরং, গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাহরিনকে হারিয়েই পরের রাউন্ডে যাওয়াটা সুনিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তারা।
অবশ্য ম্য়াচ অমিমাংসিত থাকলেও পরের রাউন্ডে ওঠার রাস্তা খোলা থাকবে ভারতের সামনে। এমনকী পরাজিত হলেও একটা ক্ষিণ আশা থাকবে। অন্যদিকে বাহরিনের কাছে এটা এসপাড়-ওসপাড়ের লড়াই। ফিফা ক্রমতালিকায় অবশ্য এই মুহূর্তে বাহরিনের থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছে কনস্টানটাইনের দল। ভারতের র্যাঙ্ক যেখানে ৯৭, বাহরিন আছে ১৩তম স্থানে।
তবে ইতিহাস কিন্তু বাহরিনের পক্ষেই রয়েছে। ফুটবল মাঠে ভারত বাহরিন মোট ৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। সোমবার আরও একবার দুই দেশের ফুটবলীয় লড়াই শুরুর আগে দেখে নেওয়া যাক দুই দলের দ্বৈরথের ইতিহাস।
|
প্রেসিডেন্টস কাপ - ১৯৮২
ভারত ও বাহরিন দুই দেশ প্রথমবার ফুটবল মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৮২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট কাপে। ইঞ্চেয়নের মাঠে গ্রুপ-এর সেই ম্যাচ ০-০ ফলে অমিমাংসিত ছিল। ৫ দলের গ্রুপে ভারত ৪ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে শেষ করে। আর বাহরিন একই পযেন্ট নিয়ে গোলসংখ্য়ায় পিছিয়ে থাকার জন্য ভারতের পরের স্থানেই ছিল।
এশিয়ান গেমস - ১৯৮৬
১৯৮৬ সালের এশিয়ান গেমসে প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কোচিং-এ সুদীপ চ্যাটার্জী-কুশানু দে-দের ভারতীয় দল গ্রুপ স্তরের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাহরিনের। এই ম্যাচে ভারতীয়দের ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাহরাইনিরা। আগেই গ্রুপের বাকি দুই ম্য়াচ হারায় বিদায় নিয়েছিল ভারত।
لاعبينا يستمدون القوة منكم فهم يمثلونكم و هناك علاقة قوية بينكم و الدليل عند تسجيل أخر هدف في كأس الخليج توجه مدن لكم و عندما سجل الرميحي على الامارات في الافتتاح احتفل الجميع معكم #جمهورنا pic.twitter.com/fw3ZiizI58
— khaled Alkhalifa (@KhaledAlkhalifa) January 8, 2019
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন প্রথম লেগ - ১৯৯৩
১৯৯৪ ফিফা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বাহরিন। প্রথমার্ধেই বাহরিন ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। এরপর নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমিয়েছিলেন ভি পি সত্য়েন।
|
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন দ্বিতীয় লেগ - ১৯৯৩
যোগ্যতা অর্জন পর্বের ফিরতি লেগে ভারতের মাঠে ভারতীয় দলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে বিশ্বকাপে মূলপর্বে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে দিয়েছিল বাহরিন।
এশিয়ান কাপ - ২০১১
এশিয়ান কাপে এখনও পর্যন্ত একবারই সামনা-সামনি হয়েছে ভারত ও বাহরিন। চলতি টুর্নামেন্টের আগে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে শেষবার ভারত খেলেছিল ২০১১ সালে। সেইবারও ভারতের সঙ্গে একই গ্রুপে ছিল বাহরিন। কাতারের মাঠে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্য়াচে ভারতকে ৫ গোল দিয়েছিল লাল জার্সিধারীরা। ভারতের পক্ষে ব্যবধান কমিয়েছিলেন গৌরমাঙ্গি সিং ও বর্তমান দলের আক্রমণভাগের প্রধান ভরসা সুনীল ছেত্রি।
অর্থাত ৫ বারের মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত ভারত একবারও বাহরিনকে হারাতে পারেনি। একটি মাত্র ক্ষেত্রে ম্য়াচ অমিমাংসিত রাখতে পেরেছিল। এই ইতিহাস অবশ্য বর্তমান ভারতীয় দলের কাছে বোঝা নয়। কারণ নতুন করে ইতিহাস লেখাই অনিরুধদের তরুণ দলের স্বপ্ন।