এফসি এশিয়ান কাপ ২০১৯: দেশকে গর্বিত করবই! আত্মবিশ্বাসী কোচ জানালেন কোথায় এগিয়ে তাঁর দল
এশিয়ান কাপ ২০১৯-এর আগে, ভারতের জাতীয় কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইন ইউএইতে ভাল পারফর্ম করে দেশকে গর্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আট বছর পর এফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে ফিরছে ভারতের ফুটবল দল। ১৯৬৪, ১৯৮৪ ও ২০১১ সালের পর এই নিয়ে চতুর্থবার ভারত এই টুর্নামেন্টের মূলপর্বে উঠেছে। আগামী ৫ তারিখ থেকে বল গড়ানো শুরু হবে। তার আগে জাতীয় কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন প্রতিশ্রুতি দিলেন সংযু্ত আরব আমিরশাহিতে তাঁর দলের পারফরম্যান্স দেশকে গর্বিত করবে।
এই টুর্নামেন্ট খেলতে আসার আগে ভারত বেশ ভাল ফর্মেই রয়েছে। ২০১৮ সালে কেনিয়াকে হারিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। চিনের মাটিতে মার্সেলো লিপ্পির দলকে রুখে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা এশিয়ান কাপ শুরুর হাতে গোমনা কয়েকদিন আগে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্য়াচে শক্তিশালী ওমানকে গোলশূন্য ড্র করতে বাধ্য করেছে। কাজেই কনস্টানটাইনের আত্মবিশ্বাসী হওয়াটা বিস্ময়কর নয়।
ভারতের আসল চ্যালেঞ্জ অবশ্য শুরু হতে যাচ্ছে শনিবার (৫ জানুয়ারি) টুর্নামেন্ট শুরু হলে। ভারত কিন্তু প্রতিযোগিতায় বেশ কঠিন গ্রুপে আছে। গ্রুপ এ-তে ভারত ছাড়া বাকি তিনটি দল হল আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, থাইল্যান্ড ও বাহারিন।
থাইল্যান্ড ফিফা ক্রমতালিকায় রয়েছে ১১৮ নম্বরে। আর ভারত ৯৭। কাজেই গ্রুপের এই ম্য়াচটি সুনীলদের জন্য কঠিন হতে পারে। কিন্তু, আরব আমিরশাহি এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল। তার উপর ঘরের সমর্থনও তাদের সঙ্গে থাকবে। আর বাহারিনের কাছে সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কয়েকবার হেরেছে ভারত।
কিন্তু এএফসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কনস্টানটাইন জানিয়েছেন, যে গ্রুপেই ভারত পড়ত, সেটাই কঠিন হতো। কিন্তু যোগ্যতা আছে বলেই তো ভারত এই জায়গায় পৌঁছেছে। ভারতের খেলোয়াড় থেকে সাপোর্ট স্টাফরা সবাই অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। কাজেই তিনি নিশ্চিত দেশকে গর্বিত করার মতোই খেলবেন তাঁরা।
এশিয়ান কাপে ভারত শেষবার খেলেছিল ২০১১ সালে। কাতারে সেইবার গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছিল ভারত। সেই দলের শুধুমাত্র সুনীল ছেত্রী ও গুরপ্রিত সিং এখনও বর্তমান দলে রয়েছেন। কনস্টানটাইন মনে করেন, এই দলের মতোই প্রতিভাবান ছিল ২০১১ সালের দলও। কিন্তু এখন বদলে গিয়েছে প্রস্তুতির পদ্ধতি। বদলে গিয়েছে মানসিকতা।
তিনি জানিয়েছেন ভারতীয় ফুটবল দল এখন অনেক বেশি ক্রীড়া বিজ্ঞান নির্ভর প্রস্তুতি নেয়। ফলে খেলোয়াড়রা সবসময়ই ভাল খেলার মতো অবস্থায় থাকেন। জার্সিতে জিপিএস ব্য়াবহার করে দেখা হয় কোনও নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ে যাচ্ছে কিনা। প্রস্তুতির এই বিশাল ফারাকই বর্তমান দলকে আগের থেকে অনেক বেশি সম্ভাবনাময় করে তুলেছে।