ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আশা নেই আর্জেন্টিনার, এটাই বাস্তব, আর কী বলছে সোশ্যাল মিডিয়া
সোশ্যাল মিডিয়াতে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী নাহলেও তাদের একমাত্র বাজি জাদুকর মেসি।
আর কয়েক ঘন্টা পরেই শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ২০১৮-র নকআউট রাউন্ড। অর্থাৎ এবার থেকে একবার পা ফসকালে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। প্রথম ম্যাচেই ফ্রান্সের মুখোমুখি আর্জেন্টিনা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে শেষ মুহূর্তে মার্কাস রোহোর গোলে নকআউটে খেলার সুযোগ মিলেছে, কিন্তু দলটা যে নড়বড়ে তা জানেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরাও।
তবে সে তো আর মুখে আনা যায় না। ব্রাজিলের সমর্থকরা আছে। ইপিএল-এর দৌলতে এখন ইংল্যান্ডের সমর্থকও কম না। এসব চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সামনে দুর্বলতা স্বীকার করা যায় নাকি? তার উপর আছে আবেগ। মনে মনে তারাও জানেন রবিবার ফ্রান্সের সামনেই ঘটতে পারে বিপর্যয়। তাও আবেগ কবে বাস্তবকে মেনেছে?
ভারতের মতো পড়শি বাংলাদেশেও আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের সমর্থকই বেশি। আর্জেন্টিনা দলের বাস্তব ছবিটা ধরা পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুষাড় ক্লিন্টন নামে বাংলাদেশেরই এক আর্জেন্টিনা ভক্তের লেখায়। তুষাড় লিখেছেন, 'আর্জেন্টিনা দল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই বিশ্বকাপে এসেছে। বাছাই পর্বের লাস্ট ম্যাচটা না জিতলে ওয়ার্ল্ড কাপে খেলারই সুযোগ পেত না আর্জেন্টাইনরা। তারপর, ওয়ার্ল্ড কাপের গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবারো সেই এক পরিস্থিতি। শেষ ১৬-তে যেতে হলে অনেক সমীকরণ পেরিয়ে জিততে হবে। সেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ২য় রাউন্ডে উঠলো। আর্জেন্টিনার সমর্থকদের অনেক পোস্ট দেখলাম। সবার লেখা পড়েই মনে হচ্ছে যেন, আর্জেন্টিনা খুব সহজেই বিশ্বকাপ পেয়ে যাবে! কিন্তু সেটা আবেগ ছাড়া কিছু না।'
'আবার একদল বিভিন্ন ইতিহাস ঘেটে প্রমাণ করতে চাইছে, আর্জেন্টিনার কাছে ফ্রান্স কোন পাত্তাই পাবেনা। তারা, কী এই ফ্রান্স দলটা সম্পর্কে কিছু জানেন ? ফ্রান্স দলটা সম্পর্কে কেউ কিছুটা অবগত হলেও স্বীকার করবে ফ্রান্সের হাতেই ২০১৮'য় ট্রফি উঠতে পারে। স্ট্রাইকার থেকে গোলকিপার পর্যন্ত এদের এগারো জনই দারুন খেলে। কোন পজিশনেই দূর্বলতা নেই বললেই চলে। এমন একটা দলের সাথে আর্জেন্টিনার বর্তমান ফুটবল দলের পাত্তা না পাওয়াটাই স্বাভাবিক।'
'সবকিছু উপেক্ষা করে আর্জেন্টিনাকে ফরাসী বাধা পার করতে পারে কেবল একটি মানুষ। সে হল 'মেসি'। মেসি যে দলে আছে তার আর কোন সমীকরণের দরকার নেই। মেসি জ্বলে উঠলে সবকিছুই সম্ভব। এটা আমি বিশ্বাস করি। ঠিক তেমনই ফ্রান্সের প্রতিটা প্লেয়ারও জানে মেসি কি করতে পারে। তারা নিশ্চই মেসিকে, 'মেসি' হয়ে উঠতে দিবে না। সবশেষে বলি, আর্জেন্টাইনরা যে এতদূর এসেছে তাতেই আমি খুশি। ফলাফল যাই হোক মেনে নেব। তবে যদি আজ আর্জেন্টিনা জিতে যায় তাহলে এই নড়বড়ে দলটাই ফাইনাল খেলবে।'
তুষাড়ও শেষে মেসি আবেগেই আক্রান্ত হয়েছেন। আসলে কিং আর্থারও তো সীমিত শক্তি নিয়েই জয়ী হয়েছিলেন মার্লিনের জাদুবলে। তাই যে দলে মেসির মতো একজন জাদুকর আছেন, তাদের উড়িয়ে দিতে দিতেও, দিতে পারছেন না কেউই। আগের ম্যাচে সেই জাদুর কিছু ঝলক দেখা গিয়েছিল। আজ কী তার বিস্ফোরণ ঘটবে?