ডেনমার্ক-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ আসলে হয়ে থাকল দুই গোলকিপার সুবাসিচ ও ক্যাসপারের
শেষ ১৬-র লড়াইয়ে মরণপণ যুদ্ধে মডরিচ, রাকিটিচ, রেবিচ, মান্ডজুকিচরা নেমেছিলেন কর্নিলিয়াস, ব্রেথওয়েট, য়ুরারি, ক্রিস্টেনসেন, য়ুর্গেনসেনদের বিরুদ্ধে। তবে আসলে লড়াই হল দুর্গের শেষ প্রহরী দুই গোলকিপারের।
শেষ ১৬-র লড়াইয়ে মরণপণ যুদ্ধে মডরিচ, রাকিটিচ, রেবিচ, মান্ডজুকিচরা নেমেছিলেন কর্নিলিয়াস, ব্রেথওয়েট, য়ুরারি, ক্রিস্টেনসেন, য়ুর্গেনসেনদের বিরুদ্ধে। তবে আসলে লড়াই হল দুর্গের শেষ প্রহরী দুই গোলকিপারের মধ্যে। ডেনমার্কের ক্যাসপার শেমিশেল বনাম ড্যানিয়েল সুবাসিচ যেন আক্ষরিক অর্থেই একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন।
দুই দলই ম্যাচের ৯০ মিনিটে সুযোগ তৈরি করেও ১টির বেশি গোল করেত পারেনি। ম্যাচের ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় ক্রোয়েশিয়া বক্সে জটলার মধ্য থেকে শট করে গোল করে যান ডেনমার্কের মাথিয়াস য়ুর্গেনসন। তবে গোল শোধ করতে বেশি সময় নেয়নি ক্রোটরা। ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে দারুণ গোল করে সমতা ফেরান মারিও মান্ডজুকিচ।
তারপরে দুই গোলকিপারের বেশি পরীক্ষা দিতে হয়নি। কারণ মাঝমাঠের দখল নিজেদের কাছে রাখতে গিয়ে দুই দলের খেলোয়াডরাই খেলাটাকে এলোমেলো করে ফেলেছিলেন। ফলে বিশেষ গোলের সুযোগ তৈরি হয়নি।
তবে ম্যাচের ১১৬ মিনিটে ক্রোটরা ডেনমার্ক বক্সে ফাউল থেকে পেনাল্টি পায়। তবে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় লুকা মডরিচের শট আটকে দেন ডেনমার্কের গোলকিপার ক্যাসপার।
শেষ অবধি খেলা গড়াল পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেখানেও দাড়িপাল্লার মতো ভাগ্য ঝুলছিল। কখনও ক্যাসপার শট বাঁচিয়েছেন, তো কখনও সুবাসিচ শট বাঁচিয়েছেন। শেষ অবধি ক্রোটরা মাথা ঠান্ডা রেখে ৩-২ গোলে জয় তুলে নেয়। যদিও ম্যাচের সেরা হয়েছেন ডেনমার্কের গোলকিপার ক্যাসপার।