ইরানের বিরুদ্ধে হাঁটু দিয়ে করা দিয়েগো কোস্তার গোল বাঁচাল স্পেনকে
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৪ মিনিটের মাথায় ইনিয়েস্তা বাড়ানো পাস দিয়েগো কোস্তা ঘুরে গোলে শট নিতে গেলে তা ইরানের ডিফেন্ডার রামিনের পায়ে লেগে ফের কোস্তার হাঁটুতে লেগে গোলে ঢুকে যায়।
ইরানের মতো দল নাড়িয়ে দিয়েছিল স্পেনের মতো বিশ্বজয়ী দলকে। ইরান এর আগো কোনওদিন গ্রুপ স্টেজ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠেনি। তবে আজ যা সুযোগ ছিল তাতে স্পেনকে হারিয়ে দিলেও কিছু বলার থাকত না। শুরু থেকে শেষ স্পেনিয়ার্ডদের সঙ্গে সমানে লড়াই করে গেল ইরানি ফুটবলাররা। যার ফলে ১-০ গোলের বেশি ব্যবধান বাড়ল না স্পেনের।
এই বিশ্বকাপে ফের একটা আত্মঘাতী গোলের সুযোগ তৈরি হতে গিয়েও হল না। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৪ মিনিটের মাথায় ইনিয়েস্তা বাড়ানো পাস দিয়েগো কোস্তা ঘুরে গোলে শট নিতে গেলে তা ইরানের ডিফেন্ডার রামিনের পায়ে লেগে ফের কোস্তার হাঁটুতে লেগে গোলে ঢুকে যায়।
যেহেতু শেষ টাচে কোস্তার হাঁটু লেগেছিল, তাই গোল কোস্তার নামে নথিভুক্ত হয়। না হলে এদিনই ছয় নম্বর আত্মঘাতী গোল হয়ে নয়া রেকর্ড তৈরি হওয়ার সুযোগ ছিল।
দিয়েগো কোস্তা এই নিয়ে ২টি ম্যাচে ৩টি গোল করে ফেললেন। এর আগের ম্যাচে পর্তুগালের বিরুদ্ধে প্রথম দুটি গোল তিনিই করেছিলেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো গোল করার পরে পরপর দুটি গোল করে স্পেনকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন তিনি। এদিনও দলের হয়ে সঠিক সময়ে গোল এনে ম্যাচের নায়ক বনে গেলেন তিনি।
অথচ প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা জুড়েই কোস্তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইরানি ডিফেন্ডাররা কড়া নজরে রেখেছিলেন তাঁকে। তবে সামান্যতম সুযোগ পেয়েই কাজে লাগালেন তিনি। দলকে জয়সূচক গোলে জয় এনে দিলেন।
এদিন জিতে গ্রুপ বি-র শীর্ষে উঠল স্পেন। যদিও পর্তুগালের সঙ্গে পয়েন্ট ও গোল পার্থক্য দুটোই সমান রয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইরান। তাদেরও সুযোগ রয়েছে পরের রাউন্ডে যাওয়ার। আর চতুর্থ দল মরক্কো দুটি ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে।