বাঁচালেন গোলরক্ষক পিকফোর্ড, কলম্বিয়াকে হারিয়ে একযুগ পরে শেষ আটে ইংল্যান্ড
এদিন কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল হ্যারি কেনের ইংল্যান্ড।
২০০৬ বিশ্বকাপে শেষবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। তারপরে শেষ দুটি বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করলেও শেষ আটে জায়গা করে নিতে পারেনি। তবে এদিন কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল হ্যারি কেনের ইংল্যান্ড।
ম্যাচের শুরুর আগেই কলম্বিয়া দলের জন্য খারাপ খবর ছিল। চোটের কারণে গত বিশ্বকাপের সোনার বুটজয়ী হামেস রদরিগেস ছিটকে গিয়েছিলেন। ফালকাওকে সামনে রেখে আক্রমণ সাজিয়েছিল কলম্বিয়া। ইংল্যান্ডও হ্যারি কেনকে সামনে রেখে আক্রমণে উঠছিল। তবে প্রথমার্ধে কোনও দলই বিশেষ সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে বক্সে ফাউল করলে ইংল্যান্ড পেনাল্টি পায়। নিজের ষষ্ঠ গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন। দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ড বেশি কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোল আসেনি। ওদিকে কলম্বিয়াও বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠেছিল। তবে ফালকাও এদিন নিষ্প্রভ ছিলেনষ রদরিগেসের অভাব যেন বারবার অনুভূত হচ্ছিল।
৯০ মিনিটের পর ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন রেফারি। ৯৩ মিনিটে কর্ণার থেকে হেডে গোল করে সমতা ফেরান ইয়ের মিনা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত মিনিটে।
পরের ৩০ মিনিটেও দুই দল গোলের মুখ খুলতে পারেনি। কলম্বিয়া সেই টাইব্রেকারে টেনে নিয়ে যায় ইংল্যান্ডকে। তবে সেখানে ৩ গোল করার পরে শেষ দুটি গোল আর করতে পারেনি কলম্বিয়া। মাতিয়াস উরিবে বারপোস্টে লাগিয়ে পেনাল্টি নষ্ট করেন। আর শেষে কার্লোস বাকার শট আটকে দেন ইংল্যান্ড গোলরক্ষক পিকফোর্ড। শেষ অবধি ৪-৩ ব্যবধানে ম্যাচ জেতে হ্যারি কেনের দল।
এই প্রথম ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে পেনাল্টি শ্যুটে জিতে পরের রাউন্ডে উঠল। এদিকে কলম্বিয়া বিশ্বকাপে তাদের শেষ চারটি নক আউট ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হেরে বিদায় নিল।