দলকে শেষ ১৬-য় তুলতে ইরানের বিরুদ্ধে 'মাস্ট উইন' ম্যাচে নামছে রোনাল্ডোর পর্তুগাল
এদিন ইরানের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে রোনাল্ডোদের।
ফিফা বিশ্বকাপে এবছর দারুণ শুরু করেছে পর্তুগাল। স্পেনের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও শেষ অবধি ম্যাচ ৩-৩ ড্র রেখেছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো একার কাঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। হ্য়াটট্রিক করে দলকে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ ড্র রেখেছেন। তার পরের ম্যাচে মরক্কোর বিরুদ্ধে সিআর সেভেনের একমাত্র গোলে মরক্কোকে হারিয়ে ২ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ বি-র দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পর্তুগাল।
এদিন ইরানের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে রোনাল্ডোদের। এদিন ড্র করলেই শেষ ১৬-য় পৌঁছে যাবেন রোনাল্ডোরা। ইরান প্রথম ম্যাচে আত্মঘাতী গোলে জিতে মরক্কোর বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট পায়। পরের ম্যাচে স্পেনের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছে। ২টি ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ১।
এই অবস্থায় পর্তুগালের সামনে সহজ সুযোগ শেষ চারে যাওয়ার। এদিন পর্তুগাল জিতলে ও ওদিকে স্পেন জিতলে কোন দল গোল পার্থক্যে গ্রুপে প্রথম স্থান পায় সেটাই দেখার।
দুই দল সূত্রে খবর, ইরানের এহসান হজসফি চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না। এই নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার আগের ম্যাচে ঘণ্টাখানেক মাঠে থেকেই উঠে যান। এদিন ম্যাচে তাঁকে নামাতে পারবে না ইরান। এদিকে পর্তুগালের হোয়াও মোতিনহো শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছিটকে গিয়েছেন।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পর্তুগাল ও ইরান বিশ্বকাপে খেলতে নামছে। ২০০৬ সালে প্রথম ম্যাচে পর্তুগিজরা ২-০ গোলে জেতে। সেই ম্যাচে ডেকো ও ক্রিশিয়ানো রোনাল্ডো গোল করেন।
পর্তুগাল ৪বার এশিয়ার দেশের সঙ্গে খেলে ৩ বার জিতেছে। ২০০২ সালে একবারই দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। এদিকে ইরান ইউরোপীয় দলের বিরুদ্ধে সাতবারের মধ্যে একবারও জিততে পারেনি।
বর্তমান ইরান কোচ কার্লোস কেইরোস ১৯৯১-৯৩ ও ২০০৮-২০১০ সালের মধ্যে দু'বার পর্তুগালের কোচ ছিলেন। ২০১০ বিশ্বকাপে তাঁর কোচিংয়েই পর্তুগাল ৭-০ গোলে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারায়। এদিন কুইরোসের দলকে হারিয়ে পর্তুগাল জয় তুলে আনতে পারে কিনা সেটাই দেখার।