ইন্ডিয়ান সুপার লিগ, নিজেদের ঘরের মাঠে ইস্পাতমানবদের আটকে দিল ১০ জনের নর্থইস্ট ইউনাইটেড
ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ২০১৮-১৯-এ নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি বনাম জামশেদপুর এফসি-র ম্যাচ রিপোর্ট।
ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্য়াচেও আটকে গেল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ম্যাচে গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে পুরো দ্বিতীয়ার্ধ তাদের ১০ জনে পেয়েও ১-১ ফলে ড্র করলো জামশেদপুর এফসি।
শুরুতেই (২০') ওগবেচের গোলের পর বিরতির ঠিক আগে লালকার্ড দেখে কোমোরস্কি বেরিয়ে যাওয়ায় গোটা দ্বিতীয়ার্ধ ১০ জনে থেলতে হ নর্থইস্টকে। কিন্তু তাতেও শুধুমাত্র ৪৯ মিনিটে ফারুক চৌধুরির গোল ছাড়া কিছু করতে পারল না জামশেদপুর।
এদিন এলকো সাতোরি তাঁর দলে কোনও পরিবর্তন করেননি। অপরদিকে ঘরের মাঠে এটিকের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করা দলের ৬ ফুটবলারকে বদলে দিয়েছিলেন জামশেদপুরের কোচ সিজার ফেরান্দো। সাসপেনশন কাটিয়ে এদিন দলেফেরেন ১ নম্বর গোলকিপার সুব্রত পাল। টি কাহিল ও জেরিকেও প্রথম দলে রাখা হয়নি।
সেই অর্থে গোলের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল নর্থইস্টই। আর প্রথম সুযোগেই গোল করে যান ওগবেচে। নিখিলের ক্রস প্রতীক চৌধুরির গায়ে লেগে যায় মারিও আর্কেসের পায়ে। গায়েগো তাঁকে ট্যাকল করলে বল যায় ওগবেচের পায়ে। চকিতে ঘুরে গোলে শট নেন তিনি। বল প্রতীকের পায়ে লেগে ঢুকে যায় গোলে। এই নিয়ে তাঁর এই মরশুমে ৫টি গোল হয়ে গেল।
এর দুই মিনিট পরেই কিন্তু কার্লোস কালভো সুযোগ পেয়েছিলেন গোল শোধ করার। তাঁর ক্রস বাড়ানোর নাম করে সোজা গোলে শট নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বাঁক খাওয়া শট নর্থইস্টের বারপোস্টে লেগে একটুর জন্য বাইরে চলে যায়।
এরপর থেকে জামশেদপুর মাঝমাঠ থেকে ভাল খেলা তুললেও তা বারবার প্রতিহত হয়েছে ঘরের দলের রক্ষণে। প্রথমার্ধে তারা গোলে একটি শটও নিতে পারেনি।
কিন্তু বিরতির ঠিক আগেই হাইল্যান্ডারদের ইন্দ্রপতন ঘটে। জামশেদপুরের প্রতি-আক্রমণের সময় মোরগাদোকে আটাতে গিয়ে তাঁর মুখে কনুই চালিয়ে বসেন কোমোরস্কি। লাল কার্ড দেখা ছাড়া উপায় ছিুল না।
বিরতির পর রক্ষণে ৪জনের সংখ্যা বজায় রাখতে সাতোরি বাধ্য হয়ে নিখিল কদকে তুলে নিয়ে ডিফেন্ডার গুরবিন্দর সিংকে মাঠে নামান। অপরদিকে আরও আক্রমণাত্মক হওয়ার জন্য সুসাইরাজকে নামিয়েছিলেন ফেরান্দো।
তাঁর স্ট্র্যাটেজি সঙ্গে সঙ্গেই কাজে এসেছিল। রেগান সিংকে শক্তিতে হারিয়ে উপরে উঠে এসেছিলেন মোরগাদো। সেখা থেকে তিনি বক্সে উছঠে আসা ফারুক ডৌধুরির উদ্দেশ্যে ক্রশ বাড়িয়েছিলেন। বাঁ পা দিয়েই বল গোলে ঠেলতে ভুল করেননি ফারুক।
এরপর জয়ের গোলের আশায় কাহিলকেও নামান ফেরান্দো। কিন্তু ততক্ষণে রক্ষণে চাপটা ভাল সামলে নিয়েছিল নর্থইস্ট। রক্ষণ জমাট রেখে তারা বাকি সময় কেবল জামশেদপুরের আক্রমণ সামলে গিয়েছে। তবে সময় শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে একটি ভাল সুযোগ এসেছিল সুসাইরাজের সামনে। কিন্তু তিনি গোলকিপারের হাতে হল তুলে দেন।
এই ড্রয়ের ফলে এক ম্যাচ বেশি খেলে গোয়া ও বেঙ্গালুরুকে টপকে ১ নম্বরে উঠে গেল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। অন্যদিকে এখনও অপরাজিত থাকলেও ৬ পয়েন্ট নিয়ে জামশেদপুর এফসি থাকল চারে। তাদের পরের খেলা ঘরের মাঠে কেরল ব্লাস্টার্স-এর বিরুদ্ধে। আর রাজধানীতে নর্থইস্ট পরে ম্যাচে মুখোমুখি হবে দিল্লি ডায়নামোসের।