ফিরেই ম্যাচের নায়ক তিনি, গতবারের গোল্ডন বুট-জয়ী হামেশের সফল প্রত্যাবর্তন
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নেমেই তিনি সেরাটা উপহার দিলেন। গোল করেননি তিনি। কিন্তু তিনটি গোলের পিছনেই ছিল অবদান।
ফিরে এসেই ম্যাচের নায়ক তিনি। জেমস রডরিগেজ। গতবার বিশ্বকাপ যেখানে শেষ করেছিলেন যেন এবার সেখান থেকেই শুরু করলেন তিনি। চোটের জন্য গত ম্যাচে নামতে পারেননি। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নেমেই তিনি সেরাটা উপহার দিলেন। গোল করেননি তিনি। কিন্তু তিনটি গোলের পিছনেই অবদান রেখে নির্বাচিত হলেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচ।
আসলে এদিনের ম্যাচে তিনি ছাড়া আরও কার কথাও বা ভাবা যেত ম্যাচের নায়ক হিসেবে। অবসর ছিল না ভাবার। কারণ যে খেলাটা আজ উপহার দিয়েছেন হামেশ, তা প্রতিকূল অবস্থা থেকে দলকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছে। মিনা, ফালকাও, কুয়াড্র্যাডোরা গোল করতে পারেন, কিন্তু গোলের পিছনে সিংহভাগ অবদান ছিল হামেশের।
৪০ মিনিটে গোলের ফাইনাল পাসটি বাড়িয়ে ছিলেন তিনিই। যে পাস তিনি বাড়িয়েছিলেন, সেখান থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করতে না পারাটাই অপরাধ। না, কোনও ভুল করেননি। মিনার হেডে এগিয়ে গিয়েছিল কলম্বিয়া। তখনই লেখা হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের ভবিতব্য। পেকেরম্যান এগিয়ে গিয়ে একটিবারের জন্যও আক্রমণের পথ থেকে সরে আসেননি।
আর তার ফলশ্রুতিতেই পোল্যান্ড অল আউট আক্রমণে ঝাঁপাতেই পারেনি। এরই মধ্যে ম্যাচের ৭০ মিনিটে ফালকাওয়ের গোল। আর তার পাঁচ মিনিট বাদেই হামেশের পাস ধরে সোলো রানে পরাস্ত করলেন পোলিশ গোলরক্ষককে। তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আর কিছুই করার ছিল না পোল্যান্ডের।
লিউয়েনডস্কি চেষ্টা করেও কোনও ফসল তুলতে পারেননি। ৩-০ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ম্যাচের শেষ লগ্নে লিউয়েনডস্কির একটি শট দক্ষতার শীর্ষে উঠে বাঁচান গোলরক্ষক অরিসন। আরও একবার লিউয়েনডস্কি একা গোলকিপারকে পেয়েও তাঁর গায়ে বল মারেন। তখন গোল হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত।