অবসরের সময় হয়েছে মেসির! ব্যর্থ হলে মহাতারকারও রক্ষা নেই, অঘটনে সমালোচনার ঝড়
ব্যর্থ হলে মহাতারকারও রক্ষা নেই! সে তারকা মেসি হন বা অন্য কেউ। তাঁকেও সমালোচনার ঝড় পোহাতে হবেই। তেমনই মঙ্গলবার রাতে রোমা অঘটন ঘটিয়ে দিয়েছে।
ব্যর্থ হলে মহাতারকারও রক্ষা নেই! সে তারকা মেসি হন বা অন্য কেউ। তাঁকেও সমালোচনার ঝড় পোহাতে হবেই। তেমনই মঙ্গলবার রাতে রোমা অঘটন ঘটিয়ে দিয়েছে। মেসিকে বোতলবন্দি করে বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে। তারপরই মেসির ভক্তরা মুখরিত হয়েছে মেসির নিন্দায়। তাঁদের প্রিয় তারকা যে নেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে! বিশ্ব ফুটবলে চূড়ান্ত হতাশা। আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মেসিহীন। টানা তিনবার কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় মেসির বার্সার।
[আরও পড়ুন:সবুজ-মেরুন তরণী পাল তুলেছে কলিঙ্গপারে, পাহাড়ি বাধা সরিয়ে সুপারে ডার্বির আঁচ ]
স্বামীর এই ব্যর্থতার দিনে সমালোচনা বিদ্ধ হতে হয়েছে মেসির স্ত্রী আন্তোনেলাকেও। আন্তোনেলার একটি ছবি দিয়ে মেসির সমালোচকরা লিখেছেন- এবার বুঝি সময় এসেছে অবসরের। এবার অবসর নিয়ে সংসারে মন দিন। সামনেই বিশ্বকাপ। তার আগেই জোড়া ব্যর্থতার খাঁড়া ঝুলছে মেসির মাথায়। প্রথমত স্পেনের বিপক্ষে ফ্রেন্ডলিতে ৬ গোলে হারের জ্বালা। তারপর ক্লাবের হয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্যর্থতা। এরপর দেশের হয়ে সেরাটা দিতে পারবেন তো মেসি!
সমালোচনা সহ্য তো করতেই হবে। চির প্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডো যখন একার কাঁধে দলকে সেমিফাইনালের পথ দেখিয়েছেন, তখনও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নির্লিপ্ত মেসি। বার্সেলোনার একমাত্র হার এ মরশুমে। সেই হারেই মহাপতন হয়েছে। ছিটকে যেতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো বড় মঞ্চ থেকে। এই ব্যর্থতা কি শুধু কোপা দেল রে, আর লা লিগা দিয়ে পূরণ করতে পারবেন মেসি, সেটাই এখন প্রশ্ন তাঁর ভক্তদের।
মঙ্গলবার হারের পর অনেকে লিখেছেন মেসির সবথেকে খারাপ পারফরম্যান্স। তাঁর অবসর নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। আবার একটি কমেন্টে লেখা হয়েছে- মেসি শেষ হয়ে গিয়েছেন। এবার সরে দাঁড়ান ফুটবল থেকে। সংবাদমাধ্যমের পাতাতেও মেসির সমালোচনায় মুখর হয়েছে তাবড় ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। মেসিকে ভূত আখ্যা দেওয়া হয়েছে এক সংবাদমাধ্যমে। বলা হয়েছে রোমার ডিফেন্ডারদের সামনে এদিন খুঁজে পাওয়া যায়নি মেসিকে।
আবার কেউ লিখেছেন, ৯০ মিনিট অদৃশ্য ছিলেন মেসি। পাঁচবারের ব্যালন ডিওর জয়ীর কী হল। ম্যাচে হাতে গোনা দুবার বিপক্ষের গোলে শট নিয়েছিলেন, তাও জমা হয় রোমার গোলরক্ষকের হাতে। এদিন কোনও সোলো মুভও দেখা যায়নি। দুটি ফ্রিকিকেও ব্যর্থ। আবার একটি কাগজে লেখা হয়েছে- এবার ভয় পাচ্ছেন মেসি। মেসিকে টপকে এবার না ব্যালন ডিওর আবার ওঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডোর হাতে। মোটকথা এদিন বার্সার কোনও ফুটবলারই খেলতে পারেননি। রোমার আক্রমণের কাছে নতি স্বীকার করতে হয়েছে মেসি-সুয়ারেজ ব্রিগেডকে।