বিশ্বকাপে খেলাই তাঁর কাছে অনিশ্চিত ছিল। মিশরের হয়ে বিশ্বকাপের আসরে নামতে পারবেন কি না সেই সংশয় নিয়েই রাশিয়া এসেছিলেন মহম্মদ সালাহ। শেষপর্যন্ত তিনি দলকে নক আউটে তুলতে পারেননি। তিনটি ম্যাচেই হেরে বিদায় নিতে হয়েছে মিশরকে। সেই লজ্জার মাঝেও মিশরের একটাই সান্ত্বনা মহম্মদ সালাহর ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার।
সালাহর গোলেই এদিন ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যায় মিশর। সৌদি আরবের গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে চিপ করে মিশরকে এগিয়ে দেন তিনি। তার পরক্ষণেই প্রায় একইরকম একটি সুযোগ চলে এসেছিল তাঁর সামনে। কিন্তু গোলকিপারের পাশ দিয়ে পাঠানো সেই বল গোলপোস্টের গা ঘেষে বেরিয়ে যায়।
একক দক্ষতায় বেশ কতগুলি মুভও তিনি করেছিলেন। কিন্তু তা থেকে গোল পাননি। সৌদির আক্রমণের মাঝেও মিশরের সালাহর কয়েকটি মুভই তাঁকে সেরার সম্মান এনে দিল এই ম্যাচে। সালাহ-র কাছ থেকে একটি গোল এল বটে, কিন্তু এদিন মিশরের সালাহর পায়ে দেখা গেল না লিভারপুলের সালাহর ঝলক।
#KSAEGY // @Budweiser #ManoftheMatch @MoSalah = #EGY pic.twitter.com/rFx3GhhZZU
— FIFA World Cup 🏆 (@FIFAWorldCup) June 25, 2018
এদিন গোল করেও নিরুত্তাপ ছিলেন সালাহ। প্রথমত তাঁর দল বিদায় নিয়েছে প্রতিযোগিতা থেকে, তারপর মিশরের হয়ে আর না খেলার সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়ে নিয়েছেন সালাহ। তবু এদিন ম্যাচে গোলের পর বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচে দুটি গেল হয়ে গেল সালাহর। যে দুটি ম্যাচে তিনি খেলেছেন, সেই দুটি ম্যাচেই গোল পেয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল সালাহ।
এদিকে সৌদি আরব এদিন মিশররে বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবলই উপহার দিয়েছে। প্রথম থেকেই একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছে। গোল করতে মরিয়া ছিল সৌদি আরব। সালাহর গোলে পিছিয়ে পড়লেও পাল্টা আঘাত দিয়ে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ও প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে দুটি পেনাল্টি আদায় করে নেয়। তার দ্বিতীয়টি থেকে আসে গোল। আর শেষ মুহূর্তে আসে জয়ের স্বাদ পায় সৌদি আরব। তবু ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মাতেই ম্যাচ সেরার সম্মান জোটে সালাহর। সেটাই মিশরের সান্ত্বনা।