দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেও মহিলা ফুটবলে দেশের গর্ব রূপা, জেনে নিন তাঁর প্রাপ্তির কাহিনি
তামিলনাড়ুর ১৯ বছর বয়সী রূপা দেবী। নিজে ভারতীয় ফুটবলে সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলেও, তামিলনাড়ু থেকে প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা রেফারি হিসাবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন 'ফিফা'-র তরফে ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭০ বছর পার হয়ে গেলেও ফুটবল নিয়ে সেভাবে আশনুরূপ প্রাপ্তি জোটেনি ভারতের কপালে । সেই জায়গা থেকে দেখতে গেলে মহিলা ফুটবল নিয়ে তো কোনও স্বপ্ন প্রায় দেখাই ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে।
[আরও পড়ুন:কালামের দর্শনই তাঁর প্রেরণা, আঠেরোতেই বিশ্বকে মাত করেছে রিফত শারুক ]
তবে হাল ছাড়েননি তামিলনাড়ুর ২৬ বছর বয়সী রূপা দেবী। নিজে ভারতীয় ফুটবলে সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলেও, তামিলনাড়ু থেকে প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা রেফারি হিসাবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন 'ফিফা'-র তরফে । ভারতে এই মুহূর্তে ৫ জন মহিলা রেফারি রয়েছেন। রূপার লড়াই মহিলা ফুটবলে উৎসাহী সকলকেই নতুন উদ্যম যোগাবে।
সাধারণ ঘরের মেয়ে রূপা অনেক ছোট বয়সেই ফুটবলের প্রেমে পড়ে যায়। তামিলনাড়ুর দিনদিগুলের সেন্ট জোসেফ স্কুলের ছাত্রী রূপা ষষ্ঠ শ্রেনিতে পড়ার সময় থেকেই ফুটবল খেলতে ভালোবাসেন।
বহু জুনিয়ার ও সাব জুনিয়ার পর্বের খেলায় অংশ নিয়েছেন রূপা। ছোটবেলা থেকেই স্কুলের ফুটবলে অন্যতম তারকা চিলেন রূপা। তাঁকে স্কুলের তরফ থেকেও যথেষ্ট সাহায্য করা হয়। তবে ফিফার তরফে ম্যাচ রেফারি হিসাবে নির্বাচিত হয়েও আজও নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন রূপা। ২০১৪ সালে স্য়ানিটারি ইন্সপেক্টর হিসাবে রূপা নির্বাচিত হলেও , গত ২ বছর ধরে এই পদে সরকারের তরফ থেকে কাউকে নিযুক্ত করা হয়নি।
তবে ,চলার পথে এত বাধা পেয়ে , ঠোক্কোর খেয়েও রূপা আজও নিজের ফুটবল নিয়ে গর্বিত। আর রূপাকে নিয়ে গর্বিত ভারত, ভারতীয় ফুটবল। রূপাদের মতো অনেকের খবরই হয়তো সেভাবে শিরোনামে আসে না, তবে স্বাধীনতার ৭১ বছর পার হওয়ার পর, এবার থেকে যেন ক্রিকেটার মতো মহিলা ফুটবলও এদেশে খবরে উঠে আসে , সেই বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে গোটা দেশকে। এই অঙ্গীকারের দায়ভার যতটা দেশের নাগরিকদের ততটাই দেশের প্রশাসনের।