প্যারালিম্পিকের হাইজাম্পে মারিয়াপ্পন থাঙ্গাভেলুর সোনা দেশকে একলাফে ইতিহাসে পাতায় তুলে দিয়েছে
রিও প্যারালিম্পিকে অংশ নিয়ে হাইজাম্পে দেশকে সোনা এনে দিয়েছেন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা মারিয়াপ্পন থাঙ্গাভেলু।
রিও প্যারালিম্পিকের আসর বসেছিল অলিম্পিকের পরপরই। আর তাতে অংশ নিয়ে হাইজাম্পে দেশকে সোনা এনে দিয়েছেন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা মারিয়াপ্পন থাঙ্গাভেলু। বছর ২২-এর এই যুবক পুরুষদের হাইজাম্পে ১.৮৯ মিটার লাফ দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন। এবছরের পদ্ম পুরস্কারের তালিকায় তাই থাঙ্গাভেলুর নামও ছিল খেলার জগত থেকে।
[আরও পড়ুন:চেনেন এঁনাকে? জন্মান্ধ শেখর নায়েক হলেন ব্লাইন্ডদের ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনি ]
তবে এই থাঙ্গাভেলুকে কে চিনত যদি প্যারালিম্পিকে পদকটাই না আনতে পারতেন তিনি? তামিলনাড়ুর সালেম (কেউ কেউ সেলম-ও বলেন) জেলার পেরিয়াবড়াগমপট্টি গ্রামে জন্ম তাঁর। বাবা ছোটবেলাতেই ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। মা সরোজার একলা হাতে বড় হয়েছেন থাঙ্গাভেলু। ইট বহন করে, সবজি বেচে দিন গুজরান করতেন সরোজা। সঙ্গে ছোট্ট থাঙ্গাভেলুকে স্কুলে পড়িয়ে বড় করার স্বপ্ন দেখতেন।
থাঙ্গাভেলুর বয়স যখন পাঁচ, তখন ঘটে এক দুর্ঘটনা। মদ্যপ ট্রাক ড্রাইভার থাঙ্গাভেলুর পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন। ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে পুরো বাদ হয়ে যায়। সেখান থেকে ফের লড়াই শুরু হয়। একদিকে পড়াশোনা ও অন্যদিকে খেলাধূলা চালিয়ে যান থাঙ্গাভেলু।
প্রথমে ভলিবল খেলতেন থাঙ্গাভেলু। পরে স্কুলের শারীরশিক্ষার শিক্ষক তাঁকে হাইজাম্পের জন্য উৎসাহিত করেন। ১৪ বছর বয়সে প্রথমবার সুস্থ বাচ্চাদের সঙ্গে হাইজাম্প করে দ্বিতীয় হন থাঙ্গাভেলু। এরপরে ধীরে ধীরে রাজ্যস্তরে ও পরে জাতীয় স্তরে পারফর্ম করে উঠে আসেন হাইজাম্পার হিসাবে।
প্রথমে তিউনিশিয়ায় কোয়ালিফায়িং রাউন্ডে ১.৭৮ মিটার হাইজাম্প দেন থাঙ্গাভেলু। রিও প্যারালিম্পিকের জন্য নির্বাচিত হন। পরে রিও-র আসরে ১.৮৯ মিটার হাইজাম্প দিয়ে দেশকে প্যারালিম্পিকে সোনা এনে দেন তিনি।