রোনাল্ডো একাই একশো! বিশ্বের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ১০০ গোলের রেকর্ড ক্রিশ্চিয়ানোর
রোনাল্ডো একাই একশো! বিশ্বের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ১০০ গোলের রেকর্ড ক্রিশ্চিয়ানোর
রোনাল্ডো একাই একশো! ইতিহাসের পাতায় নাম তুললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রথম ইউরোপিয়ান ফুটবলার হিসেবে নজির গড়লেন সিআর সেভেন।
কোন নজির গড়লেন রোনাল্ডো
মঙ্গলবার রাতে দেশের হয়ে একশোতম গোল করলেন রোনাল্ডো। বিশ্বের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফুটবলার হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন রোনাল্ডো। দীর্ঘদিন ধরেই রোনাল্ডোর শততম গোলটি দেখার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছিল ফুটবল মহল। করোনাভাইরাসের থাবায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ বন্ধ থাকায় দেশের জার্সিতে রোনাল্ডোর মাঠে নামা পিছিয়ে যায়। এরপর নেশনস লিগের ম্যাচ শুরু হলে, পায়ের পাতার সংক্রমণের জন্য প্রথম ম্যাচে ছিলেন না সি আর সেভেন।
এর আগে কোন ফুটবলারের একশো গোলের নজির
৩৫ বছরের পর্তুগাল ফরোয়ার্ডের আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইরানের আলি দায়েইয়ের দেশের হয়ে একশো গোল করার নজির গড়েছিলেন। ইরানের হয়ে তিনি ১৬৫ টি ম্যাচ খেলে ১০৯টি আন্তর্জাতিক গোল করেছেন।
রোনাল্ডোর অভিষেক
২০০৩ সালে গ্রিসের বিরুদ্ধে সিনিয়র আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক করেন রোনাল্ডো। তারপর গ্রিসের বিরুদ্ধে নিজের কেরিয়ারের প্রথম গোল করেন তিনি। সেই শুরু। তারপর থেকে দেশের হয়ে একের পর এক গোল করেছেন। ১৬৫ ম্যাচ খেলে রোনাল্ডোর গোল সংখ্যা এখন ১০১টি।
৯৯ তম গোলটি শেষ কবে এসেছিল
গত বছর নভেম্বর মাসে লুক্সেমবার্গের বিরুদ্ধে রোনাল্ডো আন্তর্জাতিক ফুটবলের ৯৯ তম গোলটি করেছিলেন৷ সেই গোলের পর করোনা ধাক্কায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হল।
১০০ তম গোলটি কীভাবে এল
মঙ্গলবার রাতে, উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচে সুইডেনের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে বক্সের ২৫ গজ দূর থেকে ফ্রিকিকে গোল করে স্মরণীয় মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন রোনাল্ডো। রোনাল্ডোর বাঁক খাওয়ানো শটের সামনে সুইডেনের গোলকিপার রবিন ওলসেন কার্যত নড়ারও সুযোগ পাননি। সরাসরি ফ্রি কিক থেকে এটি রোনাল্ডোর ৫৭ তম গোল৷ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এটি ক্রিশ্চিয়ানোর দশম ডিরেক্ট ফ্রি কিক থেকে গোল৷
১০১ তম গোল
শততম গোল পাওয়ার দিনে ১০১ তম গোলটিও পেলেন। ম্যাচের ৭২ মিনিটে দ্বিতীয়বার সুইডেনের জালে বল জড়ান রোনাল্ডো। কাট করে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে ঢুকে ২০ গজ দূর থেকে দেশের হয়ে ১০১ তম গোল করেন সি আর সেভেন। সেই জোড়া গোলের সৌজন্যেই সুইডেনকে ২-০ গোলে হারায় পর্তুগাল। টুর্নামেন্টে টানা ২টি ম্যাচ জিতল পর্তুগাল।