মেসি-রোনাল্ডোর আলোকছটাতেও ড্র হাইভোল্টেজ এল ক্লাসিকো
সেয়ানে সেয়ানে টক্করে অমীমাংশিতই থাকল হাইভোল্টেজ এল ক্লাসিকো। নু ক্যাম্পে ২-২ গোলে শেষ হল দুই হাইভোল্টেজ ক্লাবের দ্বৈরথ। ম্যাচে বার্সেলোনা দু'বার এগিয়ে গেলেও দু'বারই সমতা ফিরিয়ে আনে রিয়াল মাদ্রিদের।
সেয়ানে সেয়ানে টক্করে অমীমাংশিতই থাকল হাইভোল্টেজ এল ক্লাসিকো। নূ ক্যাম্পে ২-২ গোলে শেষ হল দুই হাইভোল্টেজ ক্লাবের দ্বৈরথ।
রবিবার
গভীর
রাতে
ঘরের
মাঠে
বার্সেলোনার
মুখোমুখি
হয়েছিল
রিয়াল
মাদ্রিদ।
ইতিমধ্যে
লা
লিগা
পকেটে
পুরে
নেওয়া
চিরপ্রতিদ্বন্ধীর
বিরুদ্ধে
ঘরের
মাঠে
খোলা
মনেই
নেমেছিল
লিওনেল
মেসির
দল।
লিগ
জিতে
নিলেও
ডার্বি
জেতার
স্বাদ
থেকে
বঞ্চিত
হতে
হল
স্টেডিয়ামে
উপস্থিত
হাজার
হাজার
বার্সা
সমর্থককে।
তবে,ম্যাচ
ড্র
হলেও
সমানে
সমানে
লড়াই
চালায়
দুই
দল।
ড্র
ম্যাচের
মধ্যেও
যে
এত
উত্তেজনা
লুকিয়ে
থাকতে
পারে,
তা
দেখিয়ে
দিল
রবিবারে
নূ
ক্যাম্প।
এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচের প্রথম থেকেই খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় আর্নেস্তো ভালভার্দের ছেলেরা। যার ফল ম্যাচের দশ মিনিটে উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজের গোল। সার্জি রবার্তোর মাপা পাস জালে জড়াতে ভুল করেননি সুয়ারেজ। সুয়ারেজের শটের কোনও জবাব ছিল না রিয়াল গোলরক্ষক নাভাসের কাছে।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথমে পেয়ে যাওয়া লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বার্সা। সুয়ারেজের গোলের ৪ মিনিটের মধ্যে প্রতিআক্রমণ থেকে গোল করে যান ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। করিম বেঞ্জিমার হেড থেকে ওপেন নেটে বল ঠেলে রিয়ালকে ম্যাচের সমতায় ফিরিয়ে আনেন সিআর ৭।
ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনার পর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় জিনেদিন জিদানের দল। ম্যাচের ২৭ মিনিট রোনাল্ডোর নিশ্চিত গোল বার্সা গোলরক্ষক সেভ না করলে সেই সময়ই ম্যাচে পিছিয়ে পড়তে পারত বার্সেলোনা। এর পরের মিনিটেই আরও একটি সুযোগ চলে আসে রিয়ালের কাছে। কিন্তু বল গোলে রাখতে পারেননি পর্তুগিজ তারকা। এরই মাঝে ম্যাচের ৩১ মিনিটে সুয়ারেজকে ফাউল করলে হলুদ কার্ড দেখেন রিয়াল মাদ্রিদের ভার্নে। তবে, যার পায়ের জাদুতে মোহিত হতে বার্সা সমর্থকরা এদিন ভীড় জমিয়েছিলেন নূ ক্যাম্পে, সেই মেসি উল্লেখযোগ্য কিছু করে উঠে পারেননি ম্যাচের প্রথমার্ধে। বরং প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় হলুদ কার্ড দেখেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। মেসি ছাড়া প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে হলুদ কার্ড দেখেন গোলদাতা সুযারেজ এবং রিয়ালের সার্জিও রামোস।
তবে, বার্সেলোনাকে বড় ধাক্কা দিয়ে যায় প্রথমার্ধের অন্তিমলগ্নে দেখা সার্জি রবার্তোর লাল কার্ড। মার্সেলোকে বিপজ্জনক ভাবে ফাউল করলে রবার্তোকে সোজা লাল কার্ড দেখান রেফারি। প্রথমার্ধ শেষে দশ জনের বার্সেলোনা তখন অনেকটাই চাপে। ১-১ স্কোরলাইনেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
তবে,
দশ
জনের
বার্সেলোনাকে
পেয়েও
এর
সুবিধা
তুলতে
ব্যর্থ
হন
ক্রুস-বেলরা।
বরং
দশ
জনে
পিছিয়ে
পড়েও
খেলা
থেকে
হারিয়ে
যায়নি
বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধের
খেলা
শুরুর
কয়েক
মিনিটের
মধ্যে
ফের
একবার
নিজের
জাত
চেনান
লিওনেল
মেসি।
লুইস
সুয়ারেজের
থেকে
পাওয়া
বল
দুই
রিয়াল
ডিফেন্ডারকে
কাটিয়ে
জালে
জড়িয়ে
দেন
এলএম
১০।
গোলার
মতো
মারা
এই
শটের
কোনও
জবাব
ছিল
না
রিয়াল
গোলরক্ষকের
কাছে।
দশ
জনের
বার্সেলোনা
লিড
নিয়ে
আরও
আক্রমণাত্মক
হয়ে
ওঠে।
কিন্তু
বারবারই
রিয়াল
মাদ্রিদের
পেনাল্টি
বক্সের
বাইরে
গিয়ে
খেই
হারিয়ে
ফেলে
বার্সার
আক্রমণভাগের
প্লেয়াররা।
ম্যাচের
৭২
মিনিটে
মার্কো
অ্যাসেন্সিওর
পাস
থেকে
গোল
করে
রিয়ালকে
সমতায়
ফিরিয়ে
আনেন
গ্যারেথ
বেল।
এর পর দুই দল একের পর এক আক্রমণ তৈরি করলেও গোল করে এগিয়ে যেতে পারেনি কেউই। ২-২ গোলেই শেষ হয় রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচ।
শুধু ম্যাচের স্কোরলাইনের বিচারেই নয়, বল পজিশানেও দুই দল ছিল একই বিন্দুতে। দুই দলেরই বল পজিশান ছিল পঞ্চাশ শতাংশ। গোলে শট নেওয়ার ক্ষেত্রেও একই মেরুতে ছিল মেসি এবং রোনাল্ডোর দল। দু'টি দলই দু'টি করে শট নেয় গোলমুখে।
এই
ম্যাচে
ছ'টি
কর্নার
পায়
বার্সা,
জাবাবে
পাঁচটি
কর্নার
অর্জন
করতে
সক্ষম
হয়
রিয়াল
মাদ্রিদ।
তবে,
ঘরের
মাঠে
এল
ক্লাসিকো
ড্র
করলেও
খুশি
মেসির
দল।