এআইএফএফ-এর ইঙ্গিত, আইএসএল-এ পরের মরসুমেই দুই প্রধান! একাধিক কারণে লিগেরই লাভ বেশি
এআইএফএফ জানিয়েছে, আইএসএল পুনর্গঠন হলে পরবর্তী মরসুমে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলকে লিগে খেলতে দেখা যেতে পারে। কলকাতার বড় ক্লাবরা কিন্তু অনেক নতুন জিনিস আইএসএল-এ আনতে পারে।
আইএসএল-এর প্রায় শুরুর দিন থেকে এই লিগে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে সামিল দাবি উঠেছে। শোনা গিয়েছে আইএসএল ও আইলিগকে মিশিয়ে দেওয়ার কথাও। তবে অতি সম্প্রতি এআইএফএফ-এর সচিব কুশল দাস ইঙ্গিত দিয়েছেন, আইএসএল-এর পুনর্গঠন হলে পরের মরসুম থেকেই এই লিগে খেলতে দেখা যেতে পারে কলকাতার দুই প্রধান ক্লাবকে।
এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গল স্পনসর হিসেবে কোয়েস-এর মতো সংস্থাকে পেয়েছে। শোনা যাচ্ছিল পরের মরসুমে আইএসএল খেলার জন্য তারা দরপরত্রও তুলবে। এছাড়া আইএসএল-এর অংশ হওযার জন্য কলকাতার আইএসএল ক্লাব এটিকের সঙ্গে সবুজ-মেরুন কর্তাদের আলোচার কথাও শোনা গিয়েছিল। এরমধ্য়ে এআইএফএফ-এর বিবৃতি সেই সম্ভাবনাকে আরও উসকে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তা ঘটলে কিন্তু আখেরে ইন্ডিয়ান সুপার লিগেরই লাভ।
জঙ্গি মৃত্যু
জম্মু ও কাশ্মীরের হান্ডওয়ারায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। গুলির লড়াইতে ৩ জঙ্গি নিহত। এক জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছে। জখম হয়েছে এক জঙ্গিও। আহত জঙ্গির খোঁজ শুরু করা হয়েছে।
আরও প্রতিযোগিতা
শুধু ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান বলে নয়, আইএসএল-এ দুটি দল বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই এই লিগের ম্যাচের সমখ্যা বাড়বে। তাদে প্রতিযোগিতার মান আরও বাড়বে। গত মরসুম থেকেই আইএসএলকে একটি চটকদার ফুটবল প্রতিযোগিতা থেকে একটি পরিপূর্ণ পেশাদার ফুটবল লিগে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। দল ও ম্য়াচ বাড়লে সময়সীমাও আরও বাড়াতে হবে। এরফলে পরিপূর্ণ পেশাদার ফুটবল লিগ হওয়ার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে আইএসএল।
অরুণ জেটলি
আজ কলকাতায় 'বন্ধন ব্যাঙ্ক'-এর উদ্বোধন করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
কমবে খারাপ প্রবণতা
গত কয়েক বছর ধরেই আইলিগে ভাল খেলা ফুটবলারদের লাইন দিয়ে আইএসএল-এ যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আইএসএল-এ হয়তো তাঁরা খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। এভাবে অনেক খেলোয়াড়ই হারিয়ে যেতে পারেন। আইএসএল-এ দল বাড়লে এই প্রবণতায় কিছুটা হলেো লাগাম পড়বে। আর সেই দল দুটি যদি কলকাতার দুই প্রধানের তো প্রতিষ্ঠিত দল হয়, তবে আরও অনেক বেশি সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে।
ভারত-পাক
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রথমবারের জন্য দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে বৈঠকে সম্মত হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। গত জুলাইতে রাশিয়ায় এবিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন দুজনে। কিন্তু সেই বৈঠক এখন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
দর্শক সংখ্যা
প্রথম মরসুমে আইএসএল-এ গড় দর্শকসংখ্যা ছিল ২৫০০০, পরের বছর তা বেড়ে হয়েছিল ২৭০০০। কিন্তু ২০১৬ সালে তা নেমে যায় ২১০০০-এ। গত মরসুমে ১০ দলের লিগ হওয়ার পর সংখ্য়াটা দাঁড়ায় ১৫০০০-এ। কিন্তু, গত মরসুমে নতুন যোগ করা জামশেদপুর এফসি ও বেঙ্গালুরু এফসির ম্যাচে কিন্তু যথেষ্ট দর্শক সমাগম হয়েছে।
অর্থাত নতুন ক্লাব লিগে যুক্ত হওয়া মানে আরও দর্শক মাঠে আসবেন। আর ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের মতো প্রতিষ্ঠিত ক্লাব হলে এই নিয়ে ভাবারই প্রয়োজন নেই। আই লিগ ২০১৭-১৮ মরসুমে মোহনবাগানের ম্যাচে গড় দর্শক সংখ্যা ছিল ১৫০০০, ইস্টবেঙ্গলের ১৭০০০। যা কিনা আইএসএল-এর ৬টি ক্লাবের থেকে বেশি।
নাভেদ
পাকিস্তানি জঙ্গি নাভেদকে নিয়ে সীমান্তে যাওয়া হয়েছে। কোন পথে সে ও তার সঙ্গীরা ভারতে অনুপ্রবেশ করল তা চিহ্নিত করতেই এই পদক্ষেপ।
পেশাদারিত্ব
প্রতি মরসুমেই আইএসএল-এ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে চলেছে। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের কাঠামোয় নিজেদের মুড়ে ফেলতে পারেনি ক্লাবগুলো। খেলোয়াড়দের সই করানো থেকে ম্য়াচের দিনের কার্যক্রমে পেশাদারি দৃষ্টিভঙ্গী কিন্তু পুরো ক্লাবটিকেই অন্য স্তরে তুলে নিয়ে যেতে পারে।
মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে মাঠে যুক্ত। তাঁরা জানেন ম্য়াচের ৯০ মিনিটের বাইরেও কিভাবে সমর্থকদের ক্লাবের সঙ্গে জড়িয়ে রাখতে হয়। কাজেই দুই প্রধানের ম্য়ানেজমেন্ট আইএসএল-এ যুক্ত হলে লিগের পেশাদারিত্বই আরও বাড়বে।
বড় ম্যাচের উত্তাপ
এটি এমন একটি বিষয় যা ভারতের অন্য কোনও ক্লাবের পক্ষে আমদানি করা সম্ভব নয়। কলকাতা ডার্বি, ফিফার 'ক্লাসিক ডার্বি তালিকা'-তেও রয়েছে। এর থেকেই এই ম্য়াচের গুরুত্ব বোঝা যায়। আইএসএল-এর মতো নতুন লিগের পক্ষে কিন্তু এই ঐতিহাসিক ডার্বি আয়োজন বেশ বড় ব্যাপার হবে।
আইএসএল-এ হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে প্রতিটি দল দুইবার করে পরস্পরের মুখোমুখি হয়। কাজেই আইলিগের মতোই দুটি ডার্বি খেলতে হবে কলকাতার দুই প্রধানকে। আইএসএল-এ নক আউট পর্যায়ও থাকে। সেখানেও দুই দল মুখোমুখি হতে পারে। এগোতো গেলে জিততেই হবে, এই পরিস্থিতিতে কলকাতা ডার্বি কিন্তু আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠবে।
ফুটবল মক্কার মন
ভারতীয় ফুটবলের মক্কা বলা হয় কলকাতাকে। কলকাতার দল এটিকে দুবার চ্যাম্পিয়ন হলেও আইএসএল কিন্তু এখনও কলকাতায় বিশেষ করে কলকাতার বহু ফুচটবল বোদ্ধার মনে সেভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি এখনও। এর অন্যতম কারণ, লিগে দুই প্রধানের অনুপস্থিতি। পরের মরসুমে লাল-হলুদ ও সবুজ-মেরুন রঙ আইএসএল-এ যোগ হলে কিন্তু এদিক থেকেও লাভ করবে লিগই।
কাজেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আইএসএল খেললে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাবের থেকেও বেশি লাভবান হবে লিগই।