
নভেম্বর ২২
এইদিনই এই বিতর্কের সূত্রপাত। মিতালিকে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপের ম্যাচে জয়ী হওয়ার পর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও প্রথম একাদশ অপরিবর্তিত রাখে ভারত। ম্যাচে ৮৯/২ থেকে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১১২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে হারতে হয় হরমনপ্রিত-বাহিনীকে। ম্যাচের পর অধিনায়িকা এই প্রসঙ্গে বলে বসেন, 'সব সিদ্ধান্তই দলের স্বার্থে নেওয়া হয়েছিল। তার কিছু কাজ করেছে, কিছু করেনি। এনিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই।'

নভেম্বর ২৩
এরপরদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিতালির ম্যানেজার অন্নিশা গুপ্তার পোস্টে ঘটনা অলাদা মাত্রা পেতে শুরু করে। তিনি অভিযোগ করেন, ভারতের মহিলা দল রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, খেলায় নয়। তিনি জানান, মিতালি রাজের অভিজ্ঞতা কী করতে পারে, ভারত বনাম আয়ারল্যান্ড ম্যাচেই তা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও মিতালিকে বাদ দেওয়া হয় স্রেফ হরমনপ্রিতকে খুশি করার জন্যই। ভারতের টি২০ অধিনায়িকাকে তিনি, 'ম্যানুপুলেটিভ, মিথ্যাবাদি, অপরিপক্ক, অযোগ্য অধিনায়ক' বলেন।

নভেম্বর ২৫
বিতর্ক নিয়ে প্রথমবার মুখ খোলেন বিসিসিআই ক্রিকেট প্রশাসনিক কমিটির প্রধান বিনোদ রাই। তিনি জানান এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলবেন তিনি ও ডায়না এডুলজি। এই বিষয়ে মিডিয়ার সামনে বিবৃতি না দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।

নভেম্বর ২৬
এর পরদিনই অবশ্য বিনোদ রাই-এর কথা উড়িয়ে দিয়ে সিওএ-এর অপর সদস্য এডুলজি জানান, এই বিষয়টি দল নির্বাচনের বিষয় কাজই তা ক্রিকেট প্রশাসনিক কমিটির এক্তিয়ারের বাইরের বিষয়। এই বিষয়ে কমিটি নাক গলাবে না।

নভেম্বর ২৭
এই বিতর্ক নিয়ে বিসিসিআই সিইও রাহুল জোহরি ও ক্রিকেট অপারেশনস-এর জেনারেল ম্যানেজার সাবা করিমকে পাঠানো মিতালি রাজের ইমেল ফাঁস হয়ে যায়। সেখানে মিতালি ডায়না এডুলজির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন তিনি এবং কোচ রমেশ পাওয়ার টি২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন কীভাবে তাঁকে লাগাতার অপমান করে গিয়েছেন তার সবিস্তার বিবরণ দেন।

নভেম্বর ২৮
এশিয়া কাপের পর ভারতীয় মহিলা দলের কোচের পদ থেকে সরতে হয়েছিল তুষাড় আরোথে। তিনিও এই বিতর্কে মুখ খুলে মিতালির সঙ্গে হরমনপ্রিত ও ডায়না এডুলজির আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন।